বিশ্বের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের অন্যতম সদস্য ডা. অ্যান্থনি ফাউচির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে আছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের একটি প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ে কাজ করা নয়, বরং হোয়াইট হাউস এখন অ্যান্থনি ফাউচির মতো গোটা আমেরিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্বের সুনাম নষ্ট করার মতো গর্হিত কাজে ব্যস্ত।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কোনো রোগ দেখা গেলেই সবার আগে ডাক পড়ে অ্যান্থনি ফাউচিরই। ১৯৮১ সালে এক গবেষণাপত্রে এইডস’র মতো রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার খবর বিশ্ববাসীকে তিনিই জানান।
প্রখ্যাত চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ফাউচির বিরুদ্ধে একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত রোববার প্রকাশিত তালিকায় তিনি বলেছেন, অ্যান্থনি ফাউচি অতীতে ‘বিভ্রান্তিকর’ মন্তব্য করেছেন সেগুলোর বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে। ওই তালিকায় ডা.অ্যান্থনি ফাউচির মন্তব্যও তুলে দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
এতে ট্রাম্প বোঝাতে চেয়েছেন, ফাউচি অনেক সময় ভুল কথা বলেছেন, সেগুলোর জন্য হোয়াইট হাউসের অনেকেই তার ওপর নাখোশ। তাদের মতে, ফাউচি উল্টোপাল্টা কথা বলছেন।
মূলত ট্রাম্প-ফাউচির মত পার্থক্যই এই সমস্যার মূল কারণ। যেখানে করোনা পরিস্থিতিতে ট্রাম্প বলতে চাইছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা ভালোর দিকে; সেখানে ফাউচি বলছেন, অবস্থা বেগতিক।
এ ছাড়া করোনা চিকিৎসায় ইবোলার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন‘কে গেম চেঞ্জার বলে দাবি করেন ট্রাম্প। এরও বিরোধিতা করেন ফাউচি। তিনি জানান, ওষুধটি মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়। পরবর্তী সময়ে গবেষণায়ও এ প্রমাণ মিলেছে।
আবার অন্যদিকে, করোনায় যত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এর মধ্যে ৯৯ শতাংশের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন ফাউচি। কেননা যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত বিশ্বে সর্বোচ্চ ৩৩ লাখের বেশি আক্রান্তের মধ্যে তো ১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মারা গেছেন।