রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অগ্নিকাণ্ডে নিহত চারজনের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ স্থগিতাদেশ দেন।
এর আগে গত ১৫ জুলাই ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে করা পৃথক পাঁচটি রিট আবেদনের ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ইউনাইটেডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত চারজনের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।
ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদনে আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন আদালত। শুনানিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান খান ও তানজিব উল আলম।
আর রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিনউদ্দিন, ব্যারিস্টার অনিক আর হক, হাসান এম এস আজিম, মুনতাসির মাহমুদ, নিয়াজ মুহাম্মদ মাহবুব ও শাহিদা সুলতানা শিলা।
গত ১৫ জুলাই ভার্চুয়াল শুনানি আদেশের কপি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। সেদিন রিটকারীদের মধ্যে অন্যতম আইনজীবী নিয়াজ মোহাম্মদ মাহবুব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আগুনে নিহত মো. মনির হোসেনের পরিবারকে ইতোমধ্যে ২০ লাখ টাকা দিয়ে সমঝোতা করেছে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আদালতের নির্দেশে এখন তাদের বাকি চারজনের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা করেই দিতে হবে।’
গত ৩ জুন হাসপাতালে রোগী মারা যাওয়ার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহতের এক স্বজন। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ভেরুন এন্থনি পলের মেয়ের জামাই দুলাল গোমেজ বাদী হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় আসামি করা হয় ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এর আগে গত ২৭ মে ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে এ মামলা করে। ওইদিন সন্ধ্যার পর হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় মারা যান করোনা আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন পাঁচ রোগী।
গত ২৭ মে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে হাসপাতালে আগুনের সূত্রপাত হয়। হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে রাত ১০টা ২৫ মিনিটে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা চার পুরুষ ও এক নারীর জ্বলন্ত লাশ উদ্ধার করে। করোনার আইসোলেশন বিভাগও পুড়ে যায় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।