দুর্নীতির জন্য শুধু সরকারকে দায়ী না করে সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে সৎ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগে আজ শনিবার সকালে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা যদি ব্যক্তিগতভাবে সৎ না হই, তাহলে কোনোভাবেই দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতির কথা যদি বলেন, আমি বলব দুর্নীতির দায় আমাদের সবার। আমরা যদি শুধু সরকারের দিকে আঙুল তুলি, সেটা হবে সবচেয়ে বড় বোকামি। আমরা সবাই এই দুর্নীতির অংশ।’
স্বাস্থ্যখাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন মহাপরিচালক সামনে কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ‘সামনে অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ, স্বাস্থ্যে এখন যে ব্যবস্থা, এই প্যানডেমিকের ক্ষেত্রে আমার যে সমস্যাগুলো ফেইস করছি, তা দূর করার চেষ্টা করব।’
প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা যেন ‘সম্মান ও ইজ্জত নিয়ে’ শেষ করতে পারেন, সেজন্য সবার কাছে দোয়াও চেয়েছেন নতুন ডিজি।
এই মহামারিতে সাংবাদিকদের ‘ইতিবাচক মনোভাব’ নিয়ে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে নতুন মহাপরিচালক বলেন, ‘সরকারের সমালোচনা অবশ্যই করবেন, ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেবেন। পাশাপাশি আমি বলব, আমরা যদি কোনো ভালো কাজ করি তাহলে সেটাও তুলবেন।’
খুরশীদ আলম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস করে দশম বিসিএসের মাধ্যমে ১৯৮৪ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি কুমিল্লা মেডিকেলের সার্জারি বিভাগের প্রধান ছিলেন।
খুরশীদ আলম কিছুদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজেও চাকরি করেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি যোগ দেন ২০১৮ সালে।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে নানা কেলেঙ্কারিতে সমালোচনার মুখে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর এই দায়িত্বে এসেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. খুরশীদ আলম। গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এক আদেশে তাকে অবিলম্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে যোগ দিতে বলা হয়। ওইদিনই ডা. আজাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।