যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা গত তিন সপ্তাহ ধরে বেড়েই চলছে। গত ২৬ জুলাই পর্যন্ত সাত দিনে ছয় হাজার ৩০০ জন এই মহামারীতে মারা গেছেন।
যদিও আক্রান্তের সংখ্যা পর পর পাঁচ সপ্তাহ বাড়ার পর প্রথমবারের মতো তা দুই শতাংশ কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
পর পর অন্তত দুই সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫টি রাজ্যে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে টেক্সাসে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। রাজ্যটিতে সর্বমোট মারা যাওয়া পাঁচ হাজার মানুষের ২০ শতাংশের মৃত্যু গত সপ্তাহে হয়েছে।
গত সপ্তাহে চার লাখ ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা ও টেক্সাসে সম্মিলিতভাবে দুই লাখ করোনা রোগী বেড়েছে। যদিও আগের সপ্তাহে ফ্লোরিডা ও টেক্সাসে সংক্রমণ কম ছিল।
অন্তত ৩০টি রাজ্যে মহামারী সপ্তাহে সপ্তাহে বাড়ছিল। যার মধ্যে উত্তরপূর্ব ও মধ্যপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো ছিল।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা চার শতাংশ বেড়েছে। শুক্রবার তা নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। একদিনেই ৯৩ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা হয়েছে।
এদিকে কোভিড-১৯ কে সহজেই এ পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ঘোষিত সবচেয়ে গুরুতর স্বাস্থ্য সংকট বলা যায় বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির প্রধান তেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
করোনা মহামারীর আগ পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মোট ৫ বার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল, দুটি ইবোলার প্রাদুর্ভাব নিয়ে ও একটি করে জিকা, পোলিও ও সোয়াইন ফ্লু নিয়ে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, এ মহামারীতে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ছয় লাখের বেশি লোকের।
সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় এক ব্রিফিংয়ে ড. তেদ্রোস বলেন, ৩০ জানুয়ারি যখন আমি বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করি, তখনও চীনের বাইরে কোনো মৃত্যু ছিল না।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। মানুষ, সম্প্রদায় ও বিভিন্ন দেশকে এটা যেমন কাছাকাছি এনেছে, আবার বিচ্ছিন্নও করেছে।