মলদ্বারের সমস্যার কারণে মলদ্বারে প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং ফুলে যায়। মলদ্বার দিয়ে রক্ত বের হওয়া এবং বাইরে কিছু অংশ ঝুলে পড়ে আবার ভেতরে ঢুকে যাওয়া এ রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। সাধারণত মলদ্বারের সমস্যা দুই ধরনের হয়ে থাকে। মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া এবং বায়ুজনিত সমস্যা।
রোগের কারণ : এ রোগে যারা ভুগে থাকেন, সাধারণত তাদের প্রচণ্ড কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে। ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে। অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রিক ছাড়াও মলের সঙ্গে আম বের হয়ে যায়। সহজে মলত্যাগ হতে চায় না। মলদ্বারে আঙুল দিয়ে মলত্যাগ করতে হয়। যাদের আইবিএস সমস্যা আছে, তাদেরও এ রোগ হতে পারে।
দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য, বারবার সুতা কৃমির আক্রমণ, অজীর্ণ রোগে বেশিদিন ভোগা, গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে চাপ, সব সময় বসে কাজ করা, কোষ্ঠবদ্ধতার কারণে মলত্যাগের সময় মলত্যাগের রাস্তা ফেটে যাওয়া, রাত জেগে কাজ করা কিংবা বাবা-মায়ের সমস্যা থাকলে সন্তানের এ রোগ হতে পারে।
চিকিৎসা : হোমিওপ্যাথি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। রোগ ও পারিবারিক ইতিহাস এবং বর্তমান সমস্যা জেনেই হোমিও ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে উচিত শাকসবজি, আঁশ জাতীয় খাবার, ফলমূল বেশি বেশি খাওয়া। ইসবগুলের ভুসির শরবতও পরিপূর্ণ মলত্যাগে সাহায্য করে।
এ ছাড়াও একজন পূর্ণবয়স্ককে দৈনিক ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে। তবে তৈলাক্ত, গুরুপাক, অতিরিক্তি মসলাযুক্ত, ভাজাপোড়া, ঝাল ও বাসি খাবার খাওয়া ঠিক নয়। নিয়মিত ব্যায়াম করা, মানসিক চাপমুক্ত থাকলে এ রোগ কাছে আর ভিড়তে পারবে না, এ কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।