আগামী ২ নভেম্বর থেকে সারা দেশে শুরু হতে যাচ্ছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। এ কারণে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা-২০১৯ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে পরীক্ষা চলাকালীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা ভুয়া ও গুজব ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দীপু মনি বলেন, এ বছর মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এদের মধ্যে জেএসসিতে ২২ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬ জন এবং জেডিসিতে ৪ লাখ ৯৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
এবার সারা দেশে মোট ২৯ হাজার ২৬২টি পরীক্ষা কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছর ২৯ হাজার ৬৭৭টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার সারা দেশে মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ১২ লাখ ২১ হাজার ৬৯৫ জন ছাত্র ও ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৭ জন ছাত্রী রয়েছে।
২০১৯ সালের জেএসডি পরীক্ষায় অনিয়মিত ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩১০ জন ও জেডিসি পরীক্ষায় ৩০ হাজার ২৯১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও তুলে ধরা হয়, পরীক্ষায় এক, দুই ও তিন বিষয়ে অকৃতকার্য জেএসসিতে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৩২ জন ও জেডিসিতে ২১ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ছাড়া বিদেশি মোট ৯টি কেন্দ্রে ৪৫৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
পরীক্ষায় সাতটি বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। ইংরেজি ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। যদি কেউ এ সময়ের পরে আসে তবে তার কারণ ও যাবতীয় তথ্য লিখে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিতে হবে। সেই তথ্য পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠাতে হবে।