বছরের বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে থাকলেও দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভোলেননি লিওনেল মেসি৷ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সারা বিশ্ব৷ ব্যতিক্রম নয়, মেসির দেশ আর্জেন্টিনাও৷ করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আর্জেন্টিনার হাসপাতালগুলোতে ভেন্টিলেটর পাঠালেন ফুটবলের রাজপুত্র৷
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে এই মুহূর্তে ব্যস্ত সময় কাটছে মেসির। নাপোলির বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য গোল করে বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছেন৷ তারপরই দেশের মানুষের প্রয়োজনের সময় সাড়া দিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা৷ সোমবার তার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রোসারিও হাসপাতালে ভেন্টিলেটর পাঠান মেসি।
করোনা আক্রান্তদের পাশে দাড়াতে গত সপ্তাহে তার অ্যাকাডেমির মাধ্যমে অর্থ পাঠিয়েছিলেন মেসি। এর আগেও অর্থাৎ মে মাসেও তার ফাউন্ডেশনের তরফে অর্থসাহায্য করা হয়েছিল।
অর্থ সাহায্যে সময়ই রোসারিও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেটরের সমস্যা দেখা গিয়েছে। কারণ প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷ বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেটর বেশি প্রয়োজন। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত মাসে সারা বিশ্বে শিশুদের কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে৷ তাই মেসি নিজে উদ্যোগ নিয়ে দেশের হাতপাতালে ভেন্টিলেটর পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। নিজের নামে গড়া লিও মেসি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আর্জেন্টিনার হাসপাতালে ভেন্টিলেটর পাঠানো হয়৷
লিও ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এক বার্তায় মেসি জানিয়েছেন, ‘করোনাভাইরাসে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমার দেশও বিপর্যস্ত। সাধারণ মানুষরা এই ভাইরাসের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে লড়াই করছেন। তাই এই অবস্থায় আমি মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারি না। যে কোনো ধরনের সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাকে জানাতে দ্বিধাবোধ করবেন না।’ রোসারিও হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফে মেসিকে ধন্যবাদ জানানো হয়। ৫০টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে ৩২টি রোসারিও হাসপাতালে পৌঁছেছে।
শুধু তাই নয়, শিশুদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ নজর দিতে বলেন ফুটবলের এই রাজপুত্র৷ শিশুদের চিকিৎসার যাতে কোনও ফাঁক না-থাকে, তার জন্য আরো বেশি উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি৷ মেসি বলেন, ‘শিশুদের এই ভাইরাসের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতেই হবে। এর জন্য যে কোনো ধরনের সহায়তা প্রয়োজন হলে, তা করতে আমি প্রস্তুত।’ ব্যক্তিগতভাবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ১০ লাখ ইউরোর বেশি কাতালোনিয়া ও আর্জেন্টিনায় অনুদান দিয়েছেন মেসি৷
দক্ষিণ আমেরিকার বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মারাত্মক অবস্থা ধারণ করেছে৷ ফুটবলে সারা বিশ্বে খ্যাতি ছড়ানো আরো একটি লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলেও করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে৷