কী হচ্ছে কাশ্মীরে? কেমন আছেন উপত্যকাবাসী? সেসব খতিয়ে দেখতে এবার কাশ্মীরে গেলেন ইউরোপিয় পার্লামেন্টারি প্যানেলের ২৭ সদস্য৷ সাত সকালেই নয়াদিল্লি থেকে কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁরা৷ ইতিমধ্যেই শ্রীনগরে পৌঁছে গিয়েছেন ৷ যদিও ইউরোপিয় ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে, এটি কোনও সরকারি সফর নয়৷ ইউরোপিয় ইউনিয়নের তরফে ওই সাংসদদের পাঠানো হয়নি৷ প্রত্যেক এমপিই ব্যক্তিগত স্তরে বেসরকারিভাবে এসেছেন৷ তাছাড়া যে এমপিরা এসেছেন তাদের ইউরোপিয় ইউনিয়ন বাছাই করেনি৷ তাদের নাকি ভারত সরকারই বেছে নিয়েছে৷ এই প্রতিনিধদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শরণার্থী বিরোধী এবং উগ্র দক্ষিণ পন্থী বলে দাবি বিরোধীদের৷ এই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউরোপের দেশগুলির কাছে আবেদন করেছেন, সন্ত্রাসবাদে মদতদাতাদের দমনে ভারতকে সহায়তা করতে৷ কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি ইউরোপিয় প্রতিনিধদের জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল৷ ইউরোপিয় দেশগুলির প্রতিনিধদের কোন কোন এলাকায় ঘোরানো হবে তা ঠিক করেছে ভারত সরকার৷ প্রশাসনের আশা, এই সফরের পর কাশ্মীর যে স্বাভাবিক আছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে বিশ্বের কাছে৷ তাছাড়া কাশ্মীর এবং লাদাখের সংস্কৃতিগত একটা ফারাক যে আছে, তাও সাফ হয়ে যাবে ইউরোপিয় প্রতিনিধদের কাছে৷ বিরোধীরা অবশ্য এই সফরকে তীব্র কটাক্ষ করছে৷ তাদের দাবি, এভাবে কাশ্মীরের বাস্তব পরিস্থিতি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার৷ দেশের বিরোধীদের কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, অথচ বিদেশি সাংসদদের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে৷ এটা আসলে ঘুরিয়ে ভারতীয় গণতন্ত্রের অবমাননা৷ তাছাড়া ইউরোপিয় ইউনিয়নের সাংসদদের গোটা কাশ্মীর ঘুরিয়ে দেখানো হচ্ছে না৷ শুধুমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধদের সঙ্গে কথা বলানো হচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে কাশ্মীরের বাস্তব সত্য উঠে আসবে না বলেও মত বিরোধী শিবিরের৷