জুয়াড়িদের অনৈতিক প্রস্তাব গোপন করায় দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পান বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিবের সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চুক্তি বাতিল হচ্ছে। জাতীয় দলের শীর্ষ গ্রেডে মাসিক ৪ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক পেতেন তিনি। কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিল হলে সেই ভাতা পাবেন না। তবে চুক্তি বাতিল হলেও বিসিবিতে সবরকম ট্রেনিংয়ের সুবিধা পাবেন সাকিব।
এ দিকে নিষেধাজ্ঞার সময়ে সাকিবের স্বীকৃত কোনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে বাতিল হয় বোর্ডের চুক্তিও। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার দিন, অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর থেকেই বোর্ডের সাথে সাকিবের চুক্তি বাতিল হওয়ার কথা রয়েছে। ক্রিকেটারদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে। দুই মাস আগেই সাকিব চুক্তির বাইরে ছিটকে গেছেন। বিসিবির বর্তমানে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রয়েছেন ১৮ জন ক্রিকেটার।
জালাল ইউনুস জানালেন, বেতনাদি পাবেন কি না তা এখনই নিশ্চিত নয়। তবে এটি সাকিবের পাওয়ার সম্ভাবনা সামান্যই। ‘এই ব্যাপার নিয়ে এখনো আমরা আলোচনা করতে পারিনি। নিষেধাজ্ঞার পর ২৪ ঘণ্টাও তো পেরোয়নি। সাধারণত নিষিদ্ধ ক্রিকেটার চুক্তিতে থাকতে পারে না। আর শুধু আমরা চাইলেই এটি হবে না, আইসিসির বিধিও দেখতে হবে একটু। তবে সাধারণভাবে যে আইন থাকে আমরা সেই পদক্ষেপই নেবো।’
নিষেধাজ্ঞা পেলেও সাকিব আল হাসানকে পুরোপুরি ক্রিকেট থেকে দূরে ঠেলে দেবে না বিসিবি। অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে এই অলরাউন্ডারকে। তবে দলের সাথে অবশ্য ট্রেনিং করতে পারবেন না সাকিব। তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও হয়তো রাখতে পারবে না বিসিবি। এমনিতে নিষেধাজ্ঞায় থাকা ক্রিকেটাররা নিষিদ্ধ থাকেন সবকিছু থেকেই। সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে তাদের দূরে রাখতে বা থাকতে হয়। কোনো ধরনের ম্যাচ খেলা তো বহুদূর, অনুশীলন করার ক্ষেত্রেও আছে বিধি-নিষেধ।
নিষিদ্ধ হওয়ার পর যেমন মোহাম্মদ আশরাফুল পাননি ট্রেনিংয়ের কোনো সুযোগ-সুবিধা। তবে আশরাফুল ও সাকিবের প্রেক্ষাপট ভিন্ন বলে বিসিবিও ভাবছে সাকিবকে নিয়ে।
ট্রেনিংয়ের সুযোগ-সুবিধা দেয়া এমনিতে বিসিবির এখতিয়ার। বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানালেন, ‘ট্রেনিংয়ের সুযোগ দেয়া বিসিবির ব্যাপার বলেই আমরা জানি। সেই সুযোগ আমরা সাকিবকে দেবো। এটা ঠিক যে, কোনো দলের সাথে অনুশীলন করতে পারবে না, এখানে আইসিসির নিষেধ আছে। কিন্তু আলাদা করে ট্রেনিং করার সুযোগ সে পাবে। আমরা চাই সে নিজেকে প্রস্তুত রাখুক। এক বছর পর যখন নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে, তখন যেন সে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত থাকে।’