যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে নর্থ ক্যারলিনা রাজ্যের শার্লটি সিটিতে ৪ দিনব্যাপী ‘পঞ্চম বার্ষিক দ্বি-পাক্ষিক সন্ত্রাস-বিরোধী অর্থায়নে ব্যাংকিং সংলাপ’-এ (টঝ ধহফ ইধহমষধফবংয ৫ঃয অহহঁধষ নর-ষধঃবৎধষ ঈড়ঁহঃবৎ- ঃবৎৎড়ৎরংস ঋরহধহপরহম ইধহশরহম ফরধষড়মঁব) অংশগ্রহণের জন্যে সোনালী ব্যাংকের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর আতাউর রহমান প্রধান, রূপালী ব্যাংকের এমডি ওবায়দুল্লাহ আল মাসুদসহ ২৭ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টররা যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। রবিবার (২৭ অক্টোবর) তারা যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান। হুন্ডি প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে অর্থ সহায়তা বন্ধে প্রযুক্তিগত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা নিয়ে গবেষণালব্ধ এবং বাস্তবসম্মত এ আলোচনার ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং বিচার বিভাগ।
আজ সোমবার (বাংলাদেশ সময় সোমবার রাতে) শুরু এ সংলাপে অংশগ্রহণের জন্যে বাংলাদেশ থেকে আরও এসেছেন ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান এবং জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন চৌধুরী, ব্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরফান আলী। এদিকে, ঢাকা থেকে জেএফকে এয়ারপোর্টে অবতরণের পর নর্থ ক্যারলিনার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগের আগে রবিবার দুপুরে সোনালী ব্যাংকের সিইও ও এমডি আতাউর রহমান প্রধান নিউইয়র্কে সোনালী এক্সচেঞ্জের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছিলেন। এ সময় তিনি রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে বোনাস প্রদানের তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচারের আহ্বান জানান। ডলারের মূল্যমান পুননির্দ্ধারণের পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর পরিশ্রমী প্রবাসীরা যে উপকৃত হচ্ছেন সে তথ্যও কমিউনিটিকে অবহিত করার ওপর গুরুত্ব দেন।
সভায় সোনালী এক্সচেঞ্জের সিইও দেবশ্রী মিত্র এবং জ্যাকসন হাইটস শাখার ম্যানেজার (সোনালী এক্সচেঞ্জের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিইও) মো. জহুরুল ইসলাম রেমিটেন্সের গতি-প্রকৃতির আলোকে সার্বিক ব্যবসায়িক অবস্থা তুলে ধরেন।
উল্লেখ করা হয় যে, সোনালী এক্সচেঞ্জের রেমিটেন্স গত বছরের তুলনায় এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে প্রায় ৯ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। সোনালী ব্যাংককে রেমিটেন্সে শীর্ষে উন্নীত করার জন্য সকলকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান আতাউর রহমান প্রধান। রেমিটেন্স বৃদ্ধির জন্য এজেন্ট নিয়োগ, নতুন শাখা খোলা এবং সোনালী ব্যাংকের শাখা খোলার সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্যও দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে সোনালী এক্সচেঞ্জের মাত্র ১০টি শাখা চালু রয়েছে। লসএঞ্জেলেসের শাখা পরিচালনা-ক্রুটিজনিত কারণে কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে গেছে। সেটি অবিলম্বে চালুর দাবি রয়েছে কমিউনিটির পক্ষ থেকে। এছাড়া ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া, ফিলাডেলফিয়া, বস্টন, হিউস্টন, ডালাসেও শাখা খোলার দাবি অনেক পুরনো। সবচেয়ে জোরালো দাবি রয়েছে নিউইয়র্কে সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা খোলার। তাহলে দেশে বিনিয়োগের ঝক্কি-ঝামেলা বহুলাংশে লাঘব হয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। একইসাথে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেও প্রবাসীরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন সোনালী ব্যাংকের শাখা চালু হলে। এদিকে, জেএফকে এয়ারপোর্টে সোনালী এবং রূপালী ব্যাংকের এমডি-কে পৃথকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রবাসী উদ্যোক্তাগণ। এর মধ্যে ছিলেন ড. সাইফুল খন্দকার, হাসানুজ্জামান হাসান, রবিউল করিম বেলাল। আরও ছিলেন সোনালী এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারাও।