যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছে, সোমবার দেশটিতে নতুন করে ৪৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মার্কিন মুল্লুকে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৮২ হাজার ৬২২ জনে।
মহামারীতে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৭২ হাজার ৩৫৬ জনে। আর আগের দিনের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৩৭ হাজার ৫৩২ জন।
এদিকে ভারতে অতিসংক্রামক করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মঙ্গলবার ৩৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তবুও দেশটির লাখো মাস্ক পরা শিক্ষার্থীকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে।
সরকার এমন এক সময় পরীক্ষা স্থগিতে অস্বীকৃতি জানাল, যখন একদিনেই ৬৯ হাজার ৯২১ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। গত ছয়দিনের মধ্যেও এটিই ছিল সর্বনিম্ন সংক্রমণ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর বলছে, করোনা বিস্তারের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরেই দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির অবস্থান।
ভাইরাসটিতে মঙ্গলবার ভারতে ৮১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৫ হাজার ২৮৮ জনে।
বিশ্বের একদিনে সর্বাধিক সংখ্যক আক্রান্তের রেকর্ডও ভারতে, ৭৮ হাজার ৭৬১ জন। মঙ্গলবার ভারতজুড়ে কুড়ি লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে।
মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এ প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
যদিও তাদের শারীরিক দূরত্ব, হাত জীবাণুমুক্তকরণ কেন্দ্র ও তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
চলতি বছরে দুবার পরীক্ষা স্থগিত করতে হয়েছে। কিন্তু তৃতীয়বার স্থগিত না করায় শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হচ্ছে।
যদিও এতে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়বে বলে শিক্ষার্থী ও বিরোধীদলীয় নেতারা আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।
এক শিক্ষার্থী বলেন, যদি পরীক্ষা বিলম্বে নেয়া হয়, তবে পুরো বছরটিই আমাদের নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের হাতে বিকল্প কিছু ছিল না।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে সর্বাত্মক সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা আমাদের গ্রহণ করতে হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করছি, আশা করি, সবকিছু ভালোই হবে।
অর্থনীতিকে সচল করতে সম্প্রতি করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করে দিয়েছে ভারত সরকার। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শহরের মেট্রো সার্ভিসও চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।