মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, যে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে : তারেক রহমান আইনজীবীকে ‘কুপিয়ে হত্যা করল’ ইসকন সদস্যরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল বন্ধ ঘোষণা অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়কসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ চিন্ময়কে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে ভারতের বিবৃতি মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

বার্সায় থেকে যাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন মেসি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২৫৯ বার

নিজের দীর্ঘদিনের ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। জোর গুঞ্জন ছিল ম্যানচেস্টার সিটিতে পাড়ি জমাচ্ছেন এ আর্জেন্টাইন তারকা। তবে শেষ পর্যন্ত স্পেন থেকে উড়াল দেওয়া সম্ভব হয়নি তার, থেকে যেতে হচ্ছে বার্সাতেই। মেসি নিজেই বার্সেলোনায় তার থেকে যাওয়ার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গোল ডট কমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বার্সায় থেকে যাওয়া প্রসঙ্গে নানা কথা বলেছেন।

মেসি তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এবং নিশ্চিত ছিলাম যে আমি চলে যেতে পারব। আমি সভাপতিকে (বার্সা প্রেসিডেন্ট) সবসময়ই বলে এসেছি মৌসুম শেষে আমি সিদ্ধান্ত নেবো- আমি থাকব না, চলে যাব। এখন তারা বলছে আমি আগে বলিনি, কেন ১০ জুনের আগে জানাইনি? জুনের ১০ তারিখে আমরা করোনাভাইরাসের কারণে লা লিগার মাঝামাঝি পর্যায়ে ছিলাম এবং মহামারির কারণে মৌসুমটা পিছিয়ে গিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘এখন আমি ক্লাবে থেকে যাচ্ছি কারণ প্রেসিডেন্ট আমাকে বলেছিলেন যে, ছাড়ার একমাত্র উপায় ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়া এবং এটি অসম্ভব।’

মেসির দলবদলের গুঞ্জন যখন চরমে তখন বার্সা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মেসির বাবা। তবে এ আলোচনায় সফল হতে পারেননি মেসির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করা তার বাবা। বার্সা সভাপতি বার্তোমেউ তাকে সাফ জানিয়ে দেন, দল ছাড়তে হলে মেসিকে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো ক্লজ মানি পরিশোধ করে যেতে হবে।

মেসি নিজেও লা লিগা কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন কেন তিনি ক্লজ মানি ছাড়া ফ্রি ট্রান্সফারে যেতে চান। তবে লা লিগা কর্তৃপক্ষ তার সে কথা আমলে নেয়নি।

বার্সা ছাড়তে মেসির সামনে একটাই পথ খোলা ছিল আর তা হলো আদালতের দ্বারস্থ হওয়া। তবে এ ধরনের মামলার সুরাহা হতে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লাগে। যদি মেসি মামলা করতেন আর তার সমাধান হতে এই সময় লাগতো তবে তাকে ২০২০-২১ মৌসুম বসেই থাকতে হতো। তাই ছয় বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি সে ঝুঁকি নেননি।

এদিকে, মেসিকে বার্সায় রেখে দিতে পেরে গাঁ বাঁচিয়েছেন ক্লাবটির সভাপতি বার্তোমেউ। কারণ মেসিকে ক্লজ মানি ছাড়া, বিনা পয়সায় ছেড়ে দিলে তার জেলে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এ ছাড়া মেসির বিষয়ে বিপুল অঙ্কের জরিমানাও গুণতে হতো তাকে। কারণ আগামী জানুয়ারিতে বার্সেলোনা ক্লাবে নতুন করে নির্বাচন হবে। জোর গুঞ্জন রয়েছে, বর্তমান সভাপতি বার্তোমেউ সেখানে অংশগ্রহণ করছেন না। আর অংশগ্রহণ করলেও তিনি ফের নির্বাচিত হতে পারবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই নতুন সভাপতি এসে তার নামে সম্পদের অপব্যবহার করার মামলা করলে তার ফেঁসে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com