বাংলাদেশ ২৮ নভেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্ট চালু করবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
সদ্য সমাপ্ত ইউরোপ সফর নিয়ে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তারিখ নিশ্চিত করেছে।
ড. মোমেন জানান, ই-পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর থাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট নবায়নে আর ঝামেলা থাকবে না।
ই-পাসপোর্টে থাকে ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ, যাতে সংরক্ষিত বায়োমেট্রিক তথ্য বিশ্লেষণ করে পাসপোর্ট বহনকারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এতে ২৮ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকছে। বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ডাটাবেজে পাওয়া তথ্যগুলো ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
বিদেশে যাতায়াত সহজ করতে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের গত জুলাই থেকে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট বিতরণ শুরু করার কথা ছিল।
সরকার এমআরপির পাশাপাশি ই-পাসপোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর গত বছরের ১৯ জুলাই এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই করে বাংলাদেশ ও জার্মানি।
এ সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু হয় ‘ই-পাসপোর্ট চালু এবং স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা’ পদ্ধতি।