শুক্রবার থেকে কার্যকর হচ্ছে বহুল আলোচিত ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মুখে সরকার ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন সড়ক পরিবহন আইন পাস করে। এক বছর আগে আইনটি প্রণয়ন করা হলেও কার্যকর হবে আজ থেকে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বাধার মুখে এতদিন আইনটি বাস্তবায়নে যায়নি সরকার।
নতুন আইনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির দায়ে শাস্তির বিধান। এই অপরাধে দায়ী চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধের জন্য জেল-জরিমানার সঙ্গে চালকের পয়েন্ট কাটা হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর বিধান লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
যদি কোনো ব্যক্তি ত্রুটি, ঝুঁকিপূর্ণ ও নিষিদ্ধ যানচালানো করেন, এ জন্য তিনি সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং চালকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসেবে দোষসূচক ১ পয়েন্ট কাটা হবে।
এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা, নিষিদ্ধ স্থানে পার্কি, কন্ডাক্টর লাইসেন্স, দাহ্য বা বিস্ফোরক দ্রব্য বহনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নতুন শাস্তির বিধান করা হয়েছে এই আইনে।
সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪৭ নং আইন)-এর ধারা ১ এর উপধারা (২) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ১ নভেম্বর তারিখে আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করলো।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এই আইনটি পাস হয়। এ আইনটিকে ভালোভাবে মেনে নিতে পারছে না মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো। তারা বিধিমালা প্রণয়ন ছাড়া আইন কার্যকর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।