সাকিব আল হাসানের ওপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞায় (এক বছর স্থগিত) ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড় দাঁড়িয়েছেন পাশে। আইসিসিকে শাস্তি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান তিনি। এবার পাকিস্তানের আরেক কিংবদন্তি সাকলাইন মোশতাক পাশে থাকলেন সাকিবের। একটা সময় বাংলাদেশের স্পিন কোচ ছিলেন সাকলাইন। শিষ্যর এমন নিষেধাজ্ঞার খবরে নিজের মনকে ধরে রাখতে পারেননি।
সাকলাইন মোশতাক বলেন, ‘বাংলাদেশের সাকিব বিশ্বের অনেক বড় নাম। বাংলাদেশের যত সাফল্য ওয়ানডে, টি-২০ বা টেস্ট, যত ম্যাচই বাংলাদেশ জিতেছে, তার মধ্যে আসল অবদান সাকিবের। সে এমন একজন খেলোয়াড় যে ম্যাচ জেতাতে পারে। পুরো বিশ্বে তার নাম, বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার তাকে সবাই মানে। ব্যাটিং বা বোলিং যেকোনো কিছু দিয়েই সে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। ম্যাচ উইনার দুই দিক থেকেই।’
তিনি বলেন, ‘তিনটি প্রশ্ন আমার মনে আসছে। প্রথমত কিছু দিন আগে বিসিবির সাথে একটা ঝামেলা চলছিল। সেখানে খেলোয়াড়রা ধর্মঘট করে, সেফটি একটা পর্ব। যেখানে সাকিব ছিল আন্দোলনের সামনের দিকে। গণমাধ্যম অনুযায়ী এটা একটা ইস্যু। দ্বিতীয়ত ২০১৭ আর ২০১৮ সালের মধ্যে তিনবার জুয়াড়ি তাকে প্রস্তাব করেছে। সেটির ফল আসতে দুই বছর লাগল! আইসিসির এন্টি করাপশন ইউনিট এত বড় সংস্থা অথচ তাদের কোনো খবরই ছিল না? আইসিসি এতোদিন কী করেছে? তৃতীয়ত দেড় অথবা পৌনে দুই বছর আগে জুয়াড়ি তাকে প্রস্তাব দিয়েছিল। সে কিন্তু ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিল না। সে কাকে জানায়নি, বিসিবি নাকি আইসিসিকে? সাকিব কি বিসিবিকে জানিয়েছিল? যদি সাকিব বিসিবিকে জানিয়েই থাকে, তবে কর্তারা কেন আইসিসিকে জানায়নি? আর সাকিব যদি কাউকে না জানায়, তবে সেটি তার ভুল।’
‘ওই জুয়াড়িটি কে? তারা একটা মাফিয়া চক্র, পুরো গ্যাং থাকে। আইসিসি বা বিসিবির এখানে কিছুই করার নেই। কেননা তাদের হাত এতো বড়, সেখানে যাওয়ার মতো ক্ষমতা নেই তাদের।’
‘সবকিছুর পর আমি এটাই বলতে চাই, এমন ঘটনা সাকিবের বেলায় প্রথমবারের মতো হয়েছে তাই তাকে ছেড়ে দেয়া উচিত। ক্ষমার দরজা খোলা রাখা উচিত। কারণ সে ফিক্সিং করেনি।’