মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অধিকাংশ সময় প্রশ্নের চৌকস জবাব দিয়ে থাকেন। না হলে তিনি উল্টো কথা বলে প্রশ্নকর্তাকেই বিপাকে ফেলে দেন। কিন্তু অনেক সময় সংবাদসম্মেলনে তাকে অপ্রস্তুত হতেও দেখা গেছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার পেনসেলভানিয়ায় এবিসি নিউজের টাউন হলে।
ওই দিন ৯০ মিনিটের একটি অনুষ্ঠান ছিল যেখানে অংশ নিয়েছিলেন সিদ্ধান্তহীন ভোটাররা। অর্থাৎ এখনো যারা ঠিক করেননি যে আসন্ন নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন। ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন জর্জ স্টেফানোপোলোস।
জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমি এটিকে অবহেলা করিনি; বরং অনেক সময় কাজের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। অথচ কিছুদিন আগেই ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক বব উডওয়ার্ডের কাছে ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, তিনি জনগণকে আতঙ্কিত করতে চাননি বলে ইচ্ছা করেই মহামারীকে গুরুত্বহীন বলেছেন। এ কথার রেকর্ডিংও রয়েছে উডওয়ার্ডের কাছে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, করোনা
ভাইরাস এমনিতেই চলে যাবে, কোনো ভ্যাকসিনের দরকার হবে না। এ কথায় অবাক হয়ে সঞ্চালক জর্জ স্টেফানোপোলোস জিজ্ঞেস করেন, ‘ভাইরাস ভ্যাকসিন ছাড়াই চলে যাবে?’ ট্রাম্প বলেন, অবশ্যই, একটা সময় পর। আর আপনাদের মধ্যে ‘হার্ড মেন্টালিটি’ তৈরি হবে। ‘হার্ড মেন্টালিটি’ বলতে কী বুঝিয়েছেন তা জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, হার্ড ইমিউনিটি (দলবদ্ধ রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতা) বলতে গিয়ে ভুল করে মেন্টালিটি বলে ফেলেছেন তিনি।
আরেক ভোটার ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, রিপাবলিকানদের নির্বাচনী প্রচারণার সেøাগানে বলা হচ্ছে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ কিন্তু আমেরিকায় যেখানে বর্ণবৈষম্য বিদ্যমান সেখানে দেশটি মহান ছিল কবে? জবাবে ট্রাম্প বলেন উত্তরে ট্রাম্প বলেন, আমাদের দেখতে হবে কোনটা মহান ছিল? আমার আশা, এখানে কোনো বৈষম্যের সমস্যা নেই।
ভোটারদের পাশাপাশি ট্রাম্পকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালকও। যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রাণহানির ঘটনা পদ্ধতিগত বর্ণবৈষম্যের ফল কিনা জানতে চান তিনি। ট্রাম্প সরাসরি এর উত্তর না দিয়ে কিছুটা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বলেন, সন্ত্রাস থামানোর ক্ষমতা আমাদের পুলিশদেরই দিতে হবে।