করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবশেষে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ট্রাম্পকে মেরিল্যান্ডের ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ট্রাম্পকে অনেকটা ‘অবসন্ন দেখালেও মানসিকভাবে দৃঢ়’ আছেন। পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সিএনএন জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস থেকে হেলিকপ্টারে করে ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, হাসপাতালে কয়েক দিন অবস্থান করবেন ট্রাম্প।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে টুইট করে ট্রাম্প বলেন, ‘আজ রাতে মেলেনিয়া ট্রাম্প ও আমার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমরা দ্রুত কোয়ারেন্টিন ও সুস্থতার প্রক্রিয়া শুরু করব।’
শুক্রবার সকালে ট্রাম্পের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরীরে করোনাভাইরাসের মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ‘শারীরিকভাবে খুবই চাঙা’ উল্লেখ করে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই প্রেসিডেন্টের বিষয়ে দুর্দান্ত জিনিসটি হলো তিনি (করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও) আমেরিকানদের পক্ষে কাজ করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেয়েছি যিনি এখনো তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। আমি আশাবাদী যে, তিনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।’
বুধবার ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হোপ হিকসের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে ওহাইওর ক্লিভল্যান্ডে প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এয়ার ফোর্স ওয়ানের বিমানে সঙ্গী ছিলেন হোপ।
এদিকে, ট্রাম্পের মতো মেলানিয়া ট্রাম্পের শরীরেও করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তবে তিনি সার্বিকভাবে ভালো বোধ করছেন বলে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসের জটিলতার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন বলে সতর্ক করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, অনেক কারণ রয়েছে যেগুলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে করোনাভাইরাসের গুরুতর জটিলতায় ফেলেছে। চিকিৎসকদের মতে, বয়স এবং অতিরিক্ত ওজনের কারণে কোভিড-১৯ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।