ইউরোপে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ রুখতে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে ফ্রান্স। আগামীকাল শনিবার থেকে রাজধানী প্যারিসসহ নয়টি শহরে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে এর আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল দেশটিতে নতুন করে ৩০ হাজার ৬২১ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন বুধবারও ২২ হাজার ৫৯১ জনের দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এদিন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখো প্যারিসসহ অন্য শহরগুলোতে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেন। আগামীকাল শনিবার থেকে কারফিউ শুরু হবে। চলবে চার সপ্তাহ। কারফিউ চলাকালীন ‘যৌক্তিক কারণ’ ছাড়া সবাইকে রাত ৯ টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। নিয়ম ভঙ্গ করলে জরিমানা গুনতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় পরিচালক ড. হ্যানস ক্লুজে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ইউরোপে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর হার গত মার্চ-এপ্রিলের তুলনায় ৫ গুণ কম। তবে বর্তমানে তরুণরা আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে সংক্রমণের হারও বাড়ছে।’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানান, দেশটিতে দৈনিক শনাক্তের পরিমাণ ৩ হাজারে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রোগীর চাপ কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সংক্রমণ বাড়ার পর থেকে গতকাল ফ্রান্সের পাশাপাশি পোল্যান্ড ও ইতালিতে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছে। একইদিনে রাশিয়ায় ২৮৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের পর দেশটিতে আর কখনো একদিনে এতজনের মৃত্যু হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহাদেশটির বিভিন্ন দেশের সরকারকে ‘আরও পদক্ষেপ নেওয়ার’ কথা বলেছে।
ফ্রান্সর প্রধানমন্ত্রী জঁ ক্যাসটেক্স বলেন, ‘কারফিউ বাস্তবায়নে নয়টি শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। তবে জরুরি কাজের ক্ষেত্রে এ বিধিনিষেধ থাকবে না।’