মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের ৫২ লাখ নাগরিক ভোট দিতে পারবেন না যে কারণে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০
  • ২১৪ বার

মারাত্মক অপরাধ নথিভুক্ত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর আসন্ন ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না ৫২ লাখ নাগরিক। অপরাধবিষয়ক নথিতে বর্তমান ও আগের নানা অপরাধ নথিভুক্তের কারণে নভেম্বরের নির্বাচনে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এই বিশাল সংখ্যক ভোটার।

অস্বাভাবিকভাবে শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের চেয়ে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকরাই বেশি বঞ্চিত। ২০১৬ সালে ভোট দিতে না পারা ব্যক্তিদের সংখ্যা আরও বেশি ছিল। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ভোটাধিকার সুরক্ষার উদ্যোগের ফলে গতবারের চেয়ে এবার এ সংখ্যা অন্তত ১৫ শতাংশ কমেছে। গত ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি প্রায় ৬১ লাখ নাগরিক।

ভোট দিতে নিষেধ করা বেশির ভাগ লোক কারাগারে নেই। স্বীকৃত মাত্র ২৫ শতাংশ মানুষ কারাগারে রয়েছেন, ১০শতাংশ প্যারোলে রয়েছেন এবং ২২ শতাংশ গুরুতর পরীক্ষায় রয়েছেন। বাকি ৪৩ শতাংশ তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন করেছেন, তবে এখনো ভোট দিতে পারেন না।

এ নিয়ে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নানা নিয়ম রয়েছে। মেইন এবং ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের লোকেরা কারাগার থেকেও ভোট দিতে পারেন। ভোট বয়সের জনসংখ্যার শূন্য শতাংশ ভয়াবহ রেকর্ড দ্বারা বঞ্চিত হন। ম্যাসাচুসেটসে এটি ০.২ শতাংশ। আলাবামা, মিসিসিপি এবং টেনেসিতে ভয়াবহ রেকর্ডের কারণে ভোটিং বয়সের কমপক্ষে ৮ শতাংশ ভোটদান নিষিদ্ধ। যা রাষ্ট্রীয় আইনগুলোর মধ্যে পার্থক্য প্রতিফলিত হয়।

কারাগারে থাকা অবস্থায় কেবল মেইন এবং ভারমন্ট সবাইকে ভোট দিতে দেয়। বাকিগুলো ভোটাধিকারের ওপর কিছুটা বিধিনিষেধ আরোপ করে। কারাগারে, প্যারোলে কিংবা প্রবেশনে থাকা লোকেরা এর আওতায় পড়েন বলে সূত্রটি জানায়।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলে সেই ফল মেনে নেবেন। শুক্রবার প্রথমবারের মতো তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যদি পরাজিত হই তাহলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করব।’ জাল ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হতে হবে। সঠিকভাবে ভোট গণনা করতে হবে।

নির্বাচনে পরাজিত হলে আপনি কী শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ইয়েস, ‘আই উইল। আমি চাই নির্বাচন সুষ্ঠু হোক। ফেডারেল নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেছেন, ভোট জালিয়াতির কোন আশঙ্কা নেই।’

নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনীতির মাঠের অস্থিরতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ট্রাম্পের কাছ থেকে নিজের দল রিপাবলিকান দলের অনেক নেতা নিজেদের সরিয়ে রাখছেন। ট্রাম্পের সম্ভাব্য পরাজয়ের সঙ্গে নিজেদের নাম তারা যুক্ত করতে চান না। নির্বাচনের পর ট্রাম্পহীন ওয়াশিংটনের রাজনীতি মাথায় রেখে নিজেদের আগেই প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com