মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ অপরাহ্ন

মার্কিন নির্বাচনের আগে যেসব তথ্য জেনে নেয়া খুবই জরুরী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০
  • ২০৪ বার

৩ নভেম্বর আমেরিকানরা সিদ্ধান্ত নেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প আর জো বাইডেনের মধ্যে কাকে তারা আরো চার বছরের জন্য হোয়াইট হাউজে দেখতে চায়।

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সেদিন রাতে যে বড় ধরনের উত্তেজনা তৈরি হবে সেটা খুব সহজেই আন্দাজ করা যায়। ওই রাতে বিভিন্ন রাজ্য থেকে নির্বাচনের যেসব ফলাফল আসতে থাকবে সেগুলোসহ আরো কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। এখানে এরকম কিছু বিষয় তুলে ধরা হল:

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্যে জনগণের ভোট, যা পপুলার ভোট হিসেবে পরিচিত, বেশি পাওয়ার দরকার হয় না। এর পরিবর্তে প্রার্থীরা বরং ইলেকটোরাল কলেজে বেশি ভোট পাওয়ার দিকেই তাকিয়ে থাকেন।
  • গত নির্বাচনে সাধারণ জনগণের ভোট কম পেয়েও ডোনাল্ড ট্রাম্প ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
  • আগের যে কোন সময়ের নির্বাচনের তুলনায় এবার প্রচুর সংখ্যক মানুষ ডাকযোগে ভোট দিচ্ছেন। এসব পোস্টাল ভোট গণনার জন্য আরো বেশি সময় লাগতে পারে, এবং কোনো কোনো রাজ্য ভোটের আগের দিন পর্যন্ত এই গণনা শুরু হবে না, ফলে কিছু কিছু রাজ্য থেকে ফলাফল পেতে নিশ্চিতভাবেই বিলম্ব ঘটবে।
  • এবার যেহেতু এতো বেশি সংখ্যক মানুষ ডাকযোগে ভোট দিচ্ছে, প্রাথমিক ফলাফলে একজন প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও পরে সেটা বদলে যেতে পারে। একারণে এসব সংখ্যার ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকতে হবে।

নির্বাচনের কিছু শব্দ বা টার্ম
বেলওয়েদার স্টেট: ওহাইও এবং মিসৌরির মতো কিছু রাজ্যকে বেলওয়েদার স্টেট বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেখা গেছে এসব রাজ্যে ভোটাররা যে প্রার্থীকে বেশি ভোট দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত তিনিই জাতীয়ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এক্সিট পোল বা বুথফেরত সমীক্ষা: ভোটাররা যখন ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসেন তখন তাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই সমীক্ষা পরিচালিত হয়। অল্প কিছু সংখ্যক ভোটারের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। ফলে এই এক্সিট পোলের ফলাফলও চূড়ান্ত ফলাফল থেকে ভিন্ন হতে পারে।

ইলেকটোরাল কলেজ: প্রত্যেকটি রাজ্যের ভোটের সংখ্যা ভিন্ন। এই ভোটকে বলা হয় নির্বাচক বা ইলেকটর। রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে ওই ইলেকটরের সংখ্যা নির্ধারিত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেটা হয়, যে প্রার্থী একটি রাজ্যে জয়ী হন, তিনি ওই রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যান। এই ইলেকটররা পরে একত্রিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। ইলেকটোরাল কলেজে (নির্বাচকমণ্ডলী) মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮ এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হতে হলে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ভোট পেতে হবে।

প্রজেকশন (ধারণা) বনাম কলিং (চূড়ান্ত): নির্বাচনের রাতে ব্যালট গণনা থেকে ধারণা বা প্রজেক্ট করা হয় প্রত্যেক রাজ্যে ও জাতীয়ভাবে কোন প্রার্থী বিজয়ী হতে চলেছেন। যথেষ্ট তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত কোনো একটি রাজ্যে কে বিজয়ী হয়েছেন সেটা ঘোষণা করা হয় না। এসব তথ্যে মধ্যে রয়েছে আগাম ভোট, এক্সিট পোল এবং নির্বাচনের দিন যেসব ভোট গণনা করা হয় সেগুলো।

সুইং স্টেট বা ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্য: যেসব রাজ্যে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন তা স্পষ্ট নয় সেগুলোকে বলা হয় সুইং স্টেট বা ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট। এর অর্থ হচ্ছে তারা ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান যে কোন প্রার্থীকেই বেছে নিতে পারেন।

লাল রাজ্য বনাম নীল রাজ্য: এসব রাজ্যে পরিষ্কার যে তারা বিশেষ কোনো একটি দলের প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিচ্ছে। রিপাবলিকান দলের সমর্থন বেশি যেসব রাজ্যে সেগুলো লাল এবং ডেমোক্র্যাট দলের প্রাধান্য যেখানে সেসব নীল।

কীভাবে জানবো কে জয়ী হচ্ছেন
যেহেতু এবার ডাকযোগে প্রচুর ভোট পড়েছে তাই প্রাথমিক ফলাফলে কে এগিয়ে আছে সেটা বোঝা কঠিন হবে। ধারণা করা হচ্ছে ২০১৬ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবার দ্বিগুণ পোস্টাল ভোট পড়েছে।

এসব পোস্টাল ভোট কখন ও কীভাবে গণনা করা হবে তার জন্য একেক রাজ্যে রয়েছে একেক ধরনের আইন। সেকারণে এসব রাজ্য থেকে বিভিন্ন সময়ে ফলাফল পাওয়া যাবে এবং কখনো কখনো সময়ের এই ব্যবধান খুব বেশিও হতে পারে। কিছু কিছু রাজ্যে, যেমন ফ্লোরিডা এবং অ্যারিজোনা, সেখানে পোস্টাল ভোটের গণনা শুরু হয়ে যাবে ৩ নভেম্বরের ভোটের দিনের আগে। কিন্তু উইসকনসিন ও পেনসিলভানিয়ায় ৩ নভেম্বরের আগে সেগুলো স্পর্শ করা হবে না। ফলে সেখান থেকে ভোটের ফলাফল দেরিতে আসবে।

এখানে আরো কিছু জটিলতা আছে। পোস্টাল ভোট দেওয়ার সময়সীমা একেক রাজ্যে একেক রকমের। কিছু রাজ্য, যেমন জর্জিয়া, সেখানে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত যেসব ভোট কর্তৃপক্ষের হাতে এসে পৌঁছাবে সেগুলো গণনা করা হবে। কিন্তু অন্যান্য রাজ্য, যেমন ওহাইও, সেখানে ৩ তারিখে ভোট দিলেও (অর্থাৎ খামের মধ্যে ৩ নভেম্বর সিল থাকতে হবে) সেসব ভোট গণনা করা হবে।

এটা আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে, কিছু কিছু রাজ্যের সম্পূর্ণ ফলাফল পেতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে। ফলে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্টের নাম কখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে সেটা আগে থেকে ধারণা করা কঠিন।

আগের নির্বাচনগুলোতে এরকম হয়নি। ২০০৮ সালে ফলাফল পাওয়া গেছে পূর্বনির্ধারিত সময়ে। আর ২০১২ সালের ফল পাওয়া গেছে নির্ধারিত সময়ের মাত্র ১৫ মিনিট পর। ২০১৬ সালে আরো একটু দেরি হয়েছিল। পেনসিলভেনিয়াতে জয়ী হওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল যে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যেসব ফাঁদে পা দেবেন না
এ বছর আরো কিছু বিষয়ের দিকে চোখ রাখতে হবে।

প্রাথমিক ফলাফল কারো জন্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে। কারণ এবার যেসব সময়ে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফল পাওয়া যাবে সেগুলোর মধ্যে সময়ের ব্যবধান হবে আরো বেশি।

কিছু কিছু রাজ্যে নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে যেসব ভোট পড়বে সেগুলো প্রথমে গণনা করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে তাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে থাকবেন। কারণ জনমত জরিপে দেখা গেছে তার সমর্থকরা ৩রা নভেম্বর কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে বেশি আগ্রহী।

কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে ৩রা নভেম্বরের আগে যেসব পোস্টাল ভোট পড়েছে সেগুলো প্রথম গণনা করা হবে অথবা ভোটের দিনের প্রাথমিক গণনার সঙ্গে সেগুলোকেও যোগ করা হবে। ফলে এসব রাজ্যের প্রাথমিক ফলাফল বাইডেনের পক্ষে যেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে যে এবছর রিপাবলিকানদের তুলনায় ডেমোক্র্যাটরা পোস্টাল ভোট বেশি দিতে আগ্রহী।

এবারের নির্বাচনে কেউ কেউ কারচুপিরও আশঙ্কা করছেন। পোস্টাল ভোটে এরকম কারচুপি হতে পারে বলে ট্রাম্প ও বাইডেন উভয় শিবির থেকেই অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এধরনের কারচুপির ঘটনা খুবই বিরল। তাছাড়া এরকম কোন তথ্য প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।

২০১৭ সালে চালানো এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কার হার ০.০০০০৪ থেকে ০.০০০৯ শতাংশ।

রাজ্যের ফলাফল কীভাবে ঘোষণা করা হয়
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলো কে জয়ী হতে চলেছেন সেবিষয়ে ধারণা পাওয়ার জন্য নির্বাচনের কিছু মডেল ব্যবহার করতে শুরু করে।

এসব মডেলে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বুথফেরত সমীক্ষা, স্থানীয় কর্মকর্তারা তখন পর্যন্ত যতো ভোট গণনা করেছেন সেসব, ইত্যাদি। সেগুলো সব একসঙ্গে করে তারা এথেকে কোন প্রার্থীর অবস্থান কোথায় সেবিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া চেষ্টা করেন।

এসব মিডিয়া তখনই কোনো রাজ্যে একজনকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করে যখন তারা দেখে যে তাকে আর পরাজিত করা সম্ভব নয়।

কিন্তু তারপরেও মনে রাখতে হবে যে এগুলো তখনও শুধুমাত্র ধারণা বা প্রজেকশন। এটা চূড়ান্ত ফল নয়।

জাতীয়ভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ব্যাপারটাও একই রকমের।

কোনো একটি রাজ্যের সব ব্যালট গণনা শেষ করতে কয়েক সপ্তাহও লেগে যেতে পারে। কিন্তু এবার পোস্টাল ভোটের কারণে সময় আরো বেশি লাগবে।

গতবারের নির্বাচনের পর এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জনগণের ভোটে এগিয়ে ছিলেন হিলারি ক্লিনটন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প এর মধ্যেই ইলেকটোরাল কলেজের যথেষ্ট ভোট পেয়ে গিয়েছিলেন।

পরিষ্কার করে কেউ বিজয়ী না হলে কী হবে?
৩ নভেম্বরে যদি পরিষ্কার না হয় যে কে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন, তাহলে ভোট গণনা শেষ হওয়ার জন্য আমাদেরকে আরো কয়েক দিন এমনকি কয়েক সপ্তাহও অপেক্ষা করতে হবে।

ভোটের রাতেই সব ভোট গণনা শেষ করা যায় না- যুক্তরাষ্ট্রে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এবার এই গণনা শেষ হতে আরো অনেক বেশি সময় লাগতে পারে।

এর সাথে যুক্ত হতে পারে আইনগত বিরোধ। সেরকম কিছু হলে অনিশ্চয়তা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং শেষ পর্যন্ত তাতে আদালতেরও ভূমিকা থাকতে পারে।

যেসব রাজ্যের ওপর নজর রাখতে হবে
আমরা জানি যে, চূড়ান্ত ফল পেতে সময় লাগবে। কিন্তু তারপরেও কিছু কিছু রাজ্যের ফলাফল থেকে আমরা হয়তো একটা ধারণা পেতে পারবো।

নর্থ ক্যারোলাইনায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে সেখানকার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। ফলে সেখানে কেন্দ্রে পড়া ভোট গণনা থেকে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যে অল্প ভোটে জিতেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ফলাফল কোন দিকে যায় সেটা বলা কঠিন। ফলে এই রাজ্যে এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা জো বাইডেন – যিনি বিজয়ী হবেন, তার জন্য সেটা শুভ সূচনা হতে পারে।

এর আধা ঘণ্টা পর ফ্লোরিডাতে ভোটগ্রহণ শেষ হবে স্থানীয় সময় রাত আটটায়। এটি একটি ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই রাজ্যে দুই দলেরই জয় পরাজয়- দুটোই ঘটেছে। এবং এবারও সেরকম হতে পারে।

তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে: পোস্টাল ভোট ও কেন্দ্রে পড়া ভোট এই দুটোর গণনা প্রথম আসবে এই ফ্লোরিডা রাজ্য থেকে। একারণে এই রাজ্যের ফলাফল জো বাইডেনের পক্ষে যেতে পারে।

অ্যারিজোনাতে ভোট কেন্দ্র বন্ধ হবে স্থানীয় সয় রাত ন’টায়। সেখানে পোস্টাল ভোটের গণনা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যে জয়লাভ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এবার সেখানে জনমত জরিপে জো বাইডেন সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।

ফ্লোরিডার মতো অ্যারিজোনাতেও প্রাথমিক গণনায় মি. বাইডেন এগিয়ে থাকতে পারেন। কারণ তার সমর্থকরা আগেই পোস্টাল ভোট দেওয়ার পক্ষে ছিলেন।

বেশ কিছু ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যে ৩ নভেম্বরের আগে একটি ভোটও গণনা করা হবে না। এর অর্থ হচ্ছে কয়েকটি ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যের ফলাফলের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সারা দেশে যে জয়ী হচ্ছেন সেটা বুঝতে হলে এসব রাজ্যের ফলাফল জানা জরুরি।

ওহাইও রাজ্যে ভোট গণনা শেষ হবে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। কর্মকর্তারা ওই রাতে প্রাথমিক কিছু ফলাফল ঘোষণা করবেন কিন্তু এর পর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে আর কোন ফল প্রকাশ করা হবে না। চূড়ান্ত ফলাফল হয়তো ২৮শে নভেম্বর ঘোষণা করা হতে পারে।

মনে রাখতে হবে ওহাইও শুধু ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য নয়, কে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন- এই রাজ্যের ফলাফল থেকে এর আগে তার ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে।

পেনসিলভেনিয়াতে ভোট কেন্দ্র বন্ধ হবে রাত আটটায়। কে হোয়াইট হাউজে যাচ্ছেন তার রাস্তা তৈরিতে সাহায্য করবে এই রাজ্যের ফলাফল। এখানে জো বাইডেনের জন্ম। আবার একই সাথে ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছিলেন।

উইসকনসিন এবং মিশিগানে ভোটগ্রহণ চলবে রাত নটা পর্যন্ত। আগের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন উইসকনসিন রাজ্যে অল্প ভোটে পরাজিত হন। তবে এবারের কিছু জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে জো বাইডেন এগিয়ে আছেন। কিন্তু লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হবে বলেই মনে হচ্ছে।

প্রতিবেশী মিশিগানও আরেকটি সুইং স্টেট। সেখানে কী হয় সেটাও দেখার বিষয়। এই রাজ্যে জয় পাওয়া বাইডেন এবং ট্রাম্প -দুটো শিবিরের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র : বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com