মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনো আসেনি। তবে সম্ভাব্য বিজয়ী কে হচ্ছেন তা অনেকটাই নিশ্চিত। ফলে ভোটের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, ‘বাইডেনের বেআইনিভাবে প্রেসিডেন্টের অফিস দাবি করা উচিত নয়। এটা আমিও করতে পারি। আইনি লড়াই মাত্র শুরু হলো।’
এর কিছুক্ষণ পর আরেক টুইটে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের রাত অবধি এসব অঙ্গরাজ্যে আমার এত বড় লিড ছিল। দিন এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো অলৌকিকভাবে অদৃশ্য হয়ে গেছে। আমাদের আইনি কার্যক্রম এগিয়ে গেলে এই লিডগুলো ফিরে আসতে পারে!’
এর আগে, জর্জিয়ার ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ রিপাবলিকান নেতা বলেন, ‘এ রাজ্যের হারিয়ে যাওয়া সামরিক ভোটগুলো কোথায়? সেগুলোর কী হয়েছে?!’
আল জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ানসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভোটে পিছিয়ে থাকলেও এখনই হাল ছাড়ছেন না ট্রাম্প। অবশ্য তিনি আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, নির্বাচনে এত সহজে হার মেনে নেবেন না। প্রয়োজনে আদালতে যাবেন। এখন কাজেও সেটিই দেখাচ্ছেন।
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে আগে থেকেই ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। উচ্চকক্ষ সিনেটে রিপাবলিকানরা এগিয়ে থাকলেও ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত সমানে সমান দুই পক্ষ। আগামী জানুয়ারিতে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হওয়া পর্যন্ত সিনেটে কারা নেতৃত্ব দেবে তা নিশ্চিত হচ্ছে না।
এ বিষয়ে এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, রিপাবলিকান সিনেটে উগ্র বামপন্থী ডেমোক্র্যাটদের আক্রমণের কারণে প্রেসিডেন্ট হওয়া এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে এখন পর্যন্ত ২৬৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। ফল বাকি থাকা পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে তিনটিতেই এগিয়ে তিনি। এর মধ্যে যেকোনো একটিতে জিতলেই হোয়াইট হাউসের পথ নিশ্চিত হবে ডেমোক্র্যাটদের।
অবশ্য আশা একেবারে ফুরিয়ে যায়নি ট্রাম্পেরও। তার হাতে রয়েছে ২১৪টি ইলেকটোরাল ভোট। বাকি পাঁচটি রাজ্যেই জয় তুলে নিতে পারলে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে তারও।