যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে ট্রাম্পকার্ড দেখিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া জো বাইডেনের সাফল্যের পাঁচটি প্রভাবক কী ছিল- এ নিয়ে বিবিসি একটি বিশ্লেষণী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলা : মহামারী সম্পর্কে ট্রাম্পের যে অবস্থান এবং যেভাবে তিনি বিষয়টি সামলেছেন, সেটি শেষ পর্যন্ত তার বিপক্ষেই গেছে। অন্যদিকে বাইডেন শিবির এ ইস্যুতে যে অবস্থান নিয়েছিল, সেটি তাকে এগিয়ে দিচ্ছে- এমনটাই দেখা গিয়েছিল গত মাসে করা এক জনমত জরিপে। এতে বাইডেন ১৭ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি।
হিসাব কষে ধীরগতির প্রচার : বাইডেন তার দীর্ঘদিনের রাজনীতিতে ভুল বক্তব্য ও অসমীচীন কাজের জন্য বিশেষ পরিচিতি পেয়েছিলেন। যেসব ভুল তাকে প্রায়ই বিপদগ্রস্ত করেছে। ১৯৮৭ সালের নির্বাচনে এমন ভুল তার হারের কারণ ছিল। ২০০৭ সালে আবার যখন তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন, সেবার তার তেমন একটা সম্ভাবনাই ছিল না। কিন্তু তৃতীয়বার যখন ওভাল অফিসের জন্য লড়েছেন, তখন তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় যথেষ্ট কম হোঁচট খেয়েছেন। এর একটি বড় কারণ হচ্ছে- ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে তার লাগামহীন অসামঞ্জস্যপূর্ণ নানা বক্তব্যের কারণে নিয়মিত খবরের উৎস ছিলেন।
আর যেই হোক ট্রাম্প নয় : ভোটারদের অনেকেই বলেছেন, তারা ব্যক্তি হিসেবে ট্রাম্পের আচরণে রীতিমতো বীতশ্রদ্ধ। বাইডেন শিবির ট্রাম্পকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে যে, এই নির্বাচন যেন দুই প্রার্থীর মধ্যে যোগ্য একজনকে বেছে নেওয়ার নির্বাচন নয়। এটি যেন ট্রাম্প সম্পর্কে একটি গণভোটের মতো বিষয়, এমন কৌশল ছিল বাইডেনের প্রচারে।
বেশি অর্থ, কম সমস্যা : এ বছরের শুরুতে বাইডেনের প্রচার তহবিল প্রায় শূন্য ছিল বলা যায়। ট্রাম্পের বিপক্ষে তার সীমাবদ্ধতা ছিল এটি। ট্রাম্পের প্রচারণা ছিল শতকোটি ডলারের বিষয়। কিন্তু এপ্রিলে এসে তহবিল গঠনে জোরালোভাবে লেগে পড়ে বাইডেন শিবির। অন্যদিকে ট্রাম্পের পদ্ধতি হচ্ছে বাড়াবাড়ি অপচয়।
মধ্যপন্থি অবস্থান : প্রচারে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, বিনামূল্যে কলেজ শিক্ষা ও ধনীদের জন্য বেশি করারোপ করার নীতিগুলোয় সমর্থন দেননি বাইডেন। এর ফলে তিনি মধ্যপন্থি ও অসন্তুষ্ট রিপাবলিকানদের কাছে টানতে পেরেছেন।