বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের শুরুতে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মোর্ত্তজাকে পাওয়া যাবে না তা আগেই জানা গিয়েছিল। ইনজুরির জন্য ফিটনেস টেস্ট দিতে না পারায় তার এ সুযোগটা হচ্ছে না। তবে বলা হয়েছিল ইনজুরি মুক্ত হলে মাশরাফি ফিরতে পারবেন। কিন্তু টুর্নামেন্টের আইনে দেখা গেল, মাশরাফিকে পরে আর কোনো দল নিতে পারবে না।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো টুর্নামেন্টের নিয়মে বলা আছে, কোনো দলের কোনো খেলোয়াড় যদি ইনজুরিতে পড়েন অথবা অসুস্থ হন তাহলে ড্রাফট থেকে একই ক্যাটাগরির অথবা নিচের ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত যে কাউকে দলে নেওয়া যাবে। অর্থাৎ ড্রাফট লিস্টের বাইরে থাকা কাউকে নেওয়া যাবে না।
আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের খেলোয়াড়দের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে বিসিবি। চার ক্যাটাগরি এ, বি, সি ও ডি’তে ক্রিকেটারদের রেখে এই তালিকা করা হয়। ১৫৭ জনের এই তালিকায় মাশরাফি নেই। নিয়ম অনুযায়ী তিনি সুযোগ পাবেন না। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে টুর্নামেন্টের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে। কালই বোঝা যাবে কে কোন দলে খেলছেন।
এই টুর্নামেন্টে খেলবে পাঁচটি দল। পাঁচটি দলের জন্য ইতিমধ্যে পাঁচটি স্পন্সরও ঠিক হয়ে গেছে। স্পন্সরের নাম অনুযায়ী গড়া হয়েছে দলও। পাঁচটি দল হলো, ফরচুন বরিশাল, বেক্সিমকো ঢাকা, মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী, জেমকন খুলনা ও গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। প্রত্যেক দলে থাকবে ১৬ জন করে ক্রিকেটার। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ২০/২২ নভেম্বর।
কিছুদিন আগে ইনজুরিতে পড়েন মাশরাফি। হ্যামস্ট্রিংয়ের এই ইনজুরি কতটা গুরুতর তা এখনো নিশ্চিত না। তবে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে মাশরাফি সুস্থ হলে দলে ফিরতে পারবেন।
গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘মাশরাফির ব্যাপারে একটা কনসার্ন আছে। ওর হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি আছে। আশা করছি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তাকে পাওয়া যাবে। তখন যেকোনো দল চাইলে ওকে দেওয়া যাবে। আমি আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি ও খেলার মধ্যে ফিরে আসবে। একের বেশি কোনো দল যদি ওকে চায় সেক্ষেত্রে লটারি করে দেওয়া হবে এবং যদি একটা দলই চায় তাহলে সরাসরি সেই দলে খেলতে পারবে।’