প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় এলাকায়। বিভিন্ন এলাকায় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের প্রধান দুটি সমুদ্র বন্ধর চট্টগ্রাম ও মোংলা।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে নিজস্ব সংকেত ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়েছে। সন্ধ্যায় এই সতর্কতা জারির পর বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ থেকে কনটেইনার ও পণ্য ওঠানো–নামানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য স্থানান্তর কার্যক্রম সকালেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কর্ণফুলী নদীতে অবস্থারত ছোট নৌযান নদীর উজানে পাঠানো হয়েছে।
মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি ১৪ জাহাজকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। রাতেই সভা করে বন্ধ রাখা হয়েছে বন্দরের কার্যক্রম।
মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে
বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। চট্টগ্রাম, বরগুনা, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোকজনে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
আমাদের শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ১০ নং মহাবিপদ সংকেতে শরণখোলায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নে ৮ হাজারের বেশী মানুষ ভেরীবাধ ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নের রায়েন্দা, গাবতলা, উত্তর সাউথখালী, দক্ষিণ সাউথখালী, বগী ও শরণখোলা গ্রামের ৮ সহস্রাধিক মানুষ ভেরীবাধ ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। সাউথখালী ইউনিয়নে বলেশ্বর নদের প্রায় ৩ কিলোমিটার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেরীবাধ ক্ষতিগ্রস্থ অবস্থায় রয়েছে। যা জলচ্ছ্বাসে তোড়ে ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে তিনি জানান। সাউথখালীর বগী এলাকার মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে যেতে শুরু করেছেন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতোমধ্যে ইউনিয়ন ও উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং করে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা সহ উপজেলার ৯৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে।