মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন

শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০
  • ২০৩ বার

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট কারচুপির যে অভিযোগ তুলেছেন তার বিরোধীতা করায় শীর্ষ একজন নির্বাচনী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে অত্যন্ত ভুল মন্তব্য করায় সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাসট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিসা) প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও কোনোভাবেই পরাজয় মেনে নিতে রাজি নয় ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোনোরকম তথ্য প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এ জন্য আইনি লড়াইও করেছেন। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি।

তবে এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে সুরক্ষিত’ নির্বাচন হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী কর্মকর্তারা।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রেবস সম্প্রতি হোয়াইট হাউজের অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে উঠেছিলেন। কারণ সিসার একটি ওয়েবসাইট ছিল রিউমার কন্ট্রোল বা গুজব নিয়ন্ত্রণ নামে, যেখানে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য খণ্ডন করা হতো। তার বেশির ভাগ প্রভাব পড়েছে স্বয়ং প্রেসিডেন্টের ওপরেই।

গত সপ্তাহেই পদত্যাগ করেছিলেন সিসার সহকারী পরিচালক ব্রায়ান ওয়ার। হোয়াইট হাউজ থেকে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। তবে বরখাস্ত হলেও এ নিয়ে কোন আক্ষেপ প্রকাশ করেননি ক্রেবস।

ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, অনেকগুলো রাজ্যে তার ভোট জো বাইডেনের নামে পাল্টে দিয়েছে। আর বরখাস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ক্রেবস টুইট বার্তায় ওই অভিযোগ খণ্ডন করেছেন।

ক্রেবস টুইটার বার্তায় বলছেন, ‘নির্বাচন পদ্ধতিতে জালিয়াতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই এবং প্রযুক্তিগতভাবেও সেটা সম্ভব নয়। ৫৯ জন নির্বাচনী নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তর হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কয়েক শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্রেবস একজন। গত সপ্তাহে এসব কর্মকর্তারা ঘোষণা করেন, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন।

সিসার ওয়েবসাইটে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা জানি  প্রমাণ ছাড়াই অনেক অভিযোগ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর সুযোগ আছে। তবে আমরা নিশ্চিত করে বলছি, নির্বাচনের নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে আমাদের পুরো আস্থা রয়েছে। আপনাদেরও সেটা রাখা উচিত।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com