ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের প্রতি নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয় নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর হবে ডিসেম্বর মাসের এক তারিখ থেকেই। খবর এনডিটিভি।
নতুন নিষেধাজ্ঞায় সারাদেশে লকডাউনের কথা নেই তবে স্থানীয়ভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নৈশ কারফিউ, স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন, যেখানে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে সেটি আমলে নিয়ে ওই এলাকার জোরদার কর্মসূচি শুরু করতে হবে। কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, রাজ্যগুলো যেন বিধিনিষেধ ভঙ্গকারীকে অতিরিক্ত জরিমানার বিধান করে। লকডাউনের অন্তর্ভুক্ত এলাকা থেকে কেউ যেন বিনা অনুমতিতে বের হতে না পারে অথবা সেখানে যেন কেউ প্রবেশ করতে না পারে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। গতকালের নির্দেশনায় মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বের মতো স্বাস্থ্যবিধিগুলো যেন কড়াকড়িভাবে মানা যায় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলো যেন বাজার ও সাপ্তাহিক বাজারের জন্য সাধারণ নিয়মে পরিণত করা হয়।
সম্প্রতি ভারতে সংক্রমণ ৯০ লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি অঞ্চলে সংক্রমণ সুস্পষ্টভাবে বেড়েছে। রাজধানী দিল্লি, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে। বিশ্বে করোনা সংক্রমণের দিক থেকে ভারত দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এর ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র- যেখানে সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। ভারতে ইতোমধ্যে এক লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছে। দেশটিতে গত মাসে সংক্রমণ নিচের দিকে ছিল কিন্তু এখনো প্রতিদিন গড়ে ৪৫ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভারতের সরকার ভ্যাকসিনের দিকে চেয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারতীয়দের জন্য টিকা নিশ্চিত করা তার সরকারের জাতীয় অঙ্গীকার।