যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন, তার কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি বলে জানিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। তিনি বলেছেন, ‘আজ পর্যন্ত আমরা এমন কোনো জালিয়াতি পাইনি যা নির্বাচনের ফল ঘুরিয়ে দিতে পারে।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। নির্বাচনে জয় পেয়েছেন দাবি করে বেশ কয়েকটি মামলা করেছেন তিনি। কয়েকটি মামলা খারিজও হয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের এমন বক্তব্য ট্রাম্পকে বড়সড় ধাক্কা দিতে পারে মনে করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
যদিও সম্প্রতি বাইডেনের জয় মেনে নিতে শুরু করেছে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবির। ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি জো বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট। ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি। বাইডেন ও ট্রাম্পের ভোটের ব্যবধান ২.২ মিলিয়নেরও বেশি।
কিন্তু নির্বাচন শেষ হওয়ার আগ মুহুর্ত থেকেই ট্রাম্প এটিকে জালিয়াত ও অসমর্থিত দাবি করতে শুরু করেন। তিনি এও দাবি করেন, নিজ দলের আইনি সদস্যরা বাইডেনের জয়ের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত করছে। হারের পর থেকে এসব বিষয় নিয়ে টুইট করেই যাচ্ছিলেন ট্রাম্প।
গতকাল মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের এমন মন্তব্যের পরও থেমে থাকেননি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট। ফের জালিয়াতির অভিযোগ তুলে একটি টুইট করেছেন তিনি।
উইলিয়াম বার গতকাল আরও বলেছেন, ‘একটা দাবি তোলা হয়েছে, ভোটের মেশিনগুলো নির্বাচনের ফলাফল নষ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয়ভাবে প্রোগ্রাম করা হয়েছিল। জালিয়াতির অভিযোগ তুলেও এও বলা হয়, বাইডেনকে জয়ী করার জন্য ব্যালট মেশিন হ্যাক করা হয়েছিল। বিচার বিভাগ ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এই দাবিটি তদন্ত করেছে। কিন্তু আমরা এর কোনো প্রমাণ পাইনি।’
তবে মার্কিন বিচার বিভাগের এক সদস্য বলেন, বিভাগের তদন্ত শেষ হয়নি। বরং ট্রাম্পের তোলা জালিয়াতির অভিযোগ তারা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করবেন।
এদিকে, উইলিয়াম বারের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্পের প্রচারের আইনজীবী রুডি জিউলিয়ানী এবং জেনা এলিস একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। তারা দাবি করছেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য তাদের কাছে কোনো রকম তদন্ত ছাড়া বলে মনে হয়।
উইলিয়াম বারের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিনেট নেতা চাক শুমার বলেছেন, ‘আমি মনে করছি তিনিই সেই, যাকে বরখাস্ত করা হবে।’