করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে ভারতের পরিস্থিতি বেশ খারাপ। গণহারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যুও। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭ লাখ ৩ হাজার ৯০৮। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৪। এই অবস্থায় দেশে উৎপাদিত ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকার ব্যবহারে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র চেয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলের (ডিসিজিআই) কাছে আবেদন জানিয়েছে ভারত বায়োটেক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গতকাল সোমাবার দেশটির ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে আবেদন করে হায়দরাবাদের এ সংস্থাটি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’র (আইসিএমআর) সঙ্গে যৌথভাবে টিকাটি তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সরকারি সূত্র অনুসারে, কোভ্যাক্সিন টিকাটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। ১৮টি শহরের ২২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর টিকার ট্রায়াল চালানো হয়েছে। এটি নিরাপদ ও কার্যকর হলে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে।
এদিকে গত ৪ ডিসেম্বর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি সর্বদলীয় বৈঠক করেন, যেখানে তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশে কয়েকদিনের মধ্যেই করোনার টিকা তৈরি হয়ে যাবে। একই দিন যুক্তরাজ্য ও বাহরাইনে ফাইজারের টিকার ছাড়পত্র দেওয়ার পর জরুরি ব্যবহারে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছেও আবেদন করে ফাইজার। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর সিরাম ইনস্টিটিউটও করোনার ভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য কোভিশিল্ডকে বলেছে।
কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশি কোনো ওষুধ সংস্থা ডিসিজিআইয়ের অনুমতি পাওয়ার পরেই তাদের প্রতিষেধক ভারতের বাজারে ছাড়তে পারে। কিন্তু কোনো রকম পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ছাড়াই ফাইজার কীভাবে সরাসরি টিকা প্রয়োগের অনুমতি চাইছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা।