চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আয়োজিত মানবন্ধনে পুলিশি বাধার প্রতিবাদে প্রেসক্লাব থেকে শ্রমভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করেন নেতা-কর্মীরা।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের পূর্বঘোষিত মানবন্ধন পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। পূর্বানুমতি না থাকায় এই মানববন্ধন করতে দেয়নি পুলিশ।
দলটির অভিযোগ, অনুমতি চেয়ে চিঠি দিলেও কোনো উত্তর আসেনি। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের সাথে কর্তব্যরত পুলিশের বাক-বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের চাপের মুখে প্রেসক্লাব ছাড়তে বাধ্য হয় বিএনপি নেতাকর্মী।
মানবন্ধন করতে না দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা এসি (পেট্রোল) ইত্তেখারুল ইসলাম বলেন, আমার নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। উপরের নির্দেশ ফলো করেছি শুধু।
এ বিষয়ে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছেন তাও এই বিজয়ের মাসে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, তারা সিস্টেমেই গেলেন না। উল্টো মানবন্ধনের সময় এসে বাধা দিচ্ছেন। গতকাল শ্রমিক দল পুলিশের সংশ্লিষ্ট দফতরে অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। আজ সকাল ১০.৩০ পর্যন্ত সে চিঠির কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। অথচ এ সময়ে এসে বাধা ঠিকই দিতে পারছেন।
‘রাষ্ট্রায়ত চিনি কল বন্ধের সিদ্ধান্ত, হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হওয়া ও ভারতীয় মানহীন চিনি আমদানির প্রতিবাদে এই মানবন্ধনের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথ হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা ছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের৷
পুলিশি বাধার প্রতিবাদ জানাতে প্রেসক্লাব থেকে শ্রমভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করেন নেতা-কর্মীরা। পরে শ্রম ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ৫ মিনিটের বক্তব্য দেন তারা৷
সেখানে দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকার পুলিশকে শ্রমিক দলের আয়োজনে আজকের এই মানবন্ধন বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ এই সরকার জনবান্ধব নয়, শ্রমিকবান্ধব নয়।
‘উল্টো শ্রমিকদের যে কল-কারখানা আছে সেগুলো লুটপাট করে খেয়ে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে দিয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে বেকার হয়ে গেল হাজার হাজার শ্রমিকরা৷ অন্যদিকে লক্ষ্য লক্ষ্য আখচাষীরা হতাশায় আছেন। অনেক আখ রয়েছে তাদের জমিতে, সেই আখ কি করবে সেটা ভাবতে ভাবতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, প্রেসক্লাব থেকে শ্রম ভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করেছি। পদযাত্রার মাধ্যমে সরকারের এহন আচরণের ধিক্কার জানাচ্ছি। নিন্দা জানাচ্ছি যে একদিকে কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে, আবার বন্ধের প্রতিবাদ করার অধিকারও কেড়ে নিচ্ছে।
এসময় শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল, সিনিয়র সহ সভাপতি সুমন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।