অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয়ের বিরল লক্ষ্য নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা) ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে মাঠে নামছে সফরকারী পাকিস্তান। এ ক্ষেত্রে তারকা খেলোয়াড় স্টিভ স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নারের বিপক্ষে পাকিস্তানের মূল ভরসা হতে পারে নতুন মুখ ১৬ বছর বয়সী একজন পেস তারকা।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ড্র করতে পারলেও কখনো কোন টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি পাকিস্তান। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে সিডনিতে টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান।
নতুন অধিনায়ক আজহার আলী, বাবর আজম এবং ইন ফর্ম আসাদ শফিক এবং তৎকালীন অধিনায়ক ও বর্তমান কোচ মিসবাহ-উল হকসহ অভিজ্ঞ দল নিয়ে সর্বশেষ ২০১৬-১৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল পাকিস্তান।
মাত্র কয়েক মাস আগে পাকিস্তান দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেয়া মিসবাহ বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অতীত রেকর্ড আমাদের চাপে ফেলবে না। যদি কোন কিছু হয় সেটা হতে পারে জয়ের জন্য একটা সুযোগ ও অনুপ্রেরণা। যা অতীতে আমরা কখনো অর্জন করতে পারিনি, এখন আমরা সেটা করতে পারি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দলটি তারুণ্য নির্ভর, জয়ের জন্য তাদের রয়েছে প্রবল ক্ষুধা, যা থেকে সব কিছু বুঝা যায়। এই দলটি চ্যালেঞ্জ নিতে চায়। আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে চাই, ভাল ক্রিকেট খেলতে চাই এবং জয় নিয়ে ভাবছি।’
তিন বছর আগে ব্রিসবেনে সেঞ্চুরি করা এবং চলতি সফরে অনুশীলন ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া এ’ দলের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৯ ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে অপরাজিত ১০১ রান করা আজম ও শফিকের উপর থুব বেশি নির্ভর করবে পাকিস্তান।
অস্ট্রেলিয়া যদিও বেশ ছন্দে আছে। গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-২ ব্যবধানে এ্যাশেজ সিরিজ ধরে রেখেছে অস্টেলিয়া। এরপর নিজ মাঠে সম্প্রতি পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে অসিরা।
স্বাভাবিকভাবেই গাব্বার পেস সহায়ক পিচে বোলাররা হতে পারেন গুরুত্বপুর্ন।
অস্ট্রেলিয়া দলে পেস আক্রমন বিভাগে রয়েছে অভিজ্ঞ প্যাট কামিন্স, মাইকেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড। তবে নিষিদ্ধাদেশের কারণে নেই জেমস প্যাটিনসন।
পাকিস্তান দলের পেস আক্রমনে রয়েছেন এক দল তরুণ। অভিষেক ঘটতে পারে টিন এজ ১৬ বছর বয়সী নাসিম শাহর। তার সাথে রয়েছেন ১৯ বছর বয়সী শাহিন আফ্রিদি, মুসা খান, মোহাম্মদ আব্বাস ও অভিজ্ঞ ইমরান খান সিনিয়র।
সিরিজ শুরুর আগে দুটি অনুশীলন ম্যাচেই পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানরা দারুন নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। সেখানে অসি ব্যাটসম্যানরা তেমন কিছুই করতে পারেননি। তবে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারীর পর নিজ মাঠে প্রথম টেস্টে ঘুড়ে দাঁড়ানোর আশা করছেন স্মিথ ও ওয়ার্নার।
অনুশীলন ম্যাচ শেষে অসি অধিনায়ক টিম পাইন বলেন, ‘পার্থে কি হয়েছে সেটা নিয়ে নয় আমরা ভাবছি গাব্বাতে কি ঘটতে যাচ্ছে সেটা নিয়ে।
অ্যাশেজ সিরিজে ৯.৫ গড়ে মাত্র ৯৫ রান করলেও দারুনভাবে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছেন ওয়ার্নার।
ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ সিরিজে স্মিথ ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। মাত্র সাত ইনংসে তার রান ছিল ৭৭৪ এবং দলের দুই জয়ে মূখ্য ভুমিকা পালন করেছিলেন তিনি। ব্রিসবেনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৬ সালের শেষ দিকে নিজের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন স্মিথ। অ্যাশেজে ধুকলেও টেস্ট দলে ওয়ার্নারের জায়গা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে অস্ট্রেলিয়া উপযুক্ত একজন জুটি খুঁজে পাচ্ছেনা।