টানা ১৭ দিন কর্ম-ব্যস্ততার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজের বাড়ির দিকে পা বাড়ালেন। শুক্রবার ৫ই ফেব্রুয়ারি বাইডেন আপন ঠিকানা দেলাওয়ারের উইলমিংটনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেছেন। তিনি
উইকএন্ড কাটাবেন আপনজনদের সান্নিধ্যে। যাওয়ার আগে রক্ষণশীল হিসাবে বিবেচিত মিডিয়া তাঁকে নানা প্রশ্নবাণে বিব্রত করতেও ছাড়েনি। এমন সফর সিডিসির ভ্রমণ সীমিতকরণের মধ্যে পড়ে কিনা বা প্রেসিডেন্টের এরকম সফরে জনসাধারণ উৎসাহিত হবে কিনা ? এমন প্রশ্নও ছিল। গত মাসে ১৯শে জানুয়ারি বাইডেন যখন রাষ্ট্রের শীর্ষ ক্ষমতা নিতে ওয়াশিংটনের পথে রওনা হন তখন তিনি অতিমাত্রায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি অশ্রুভেজা কণ্ঠে বলেন, দেলাওয়ার আমার হৃদয়ে লেখা থাকবে। এশহর প্রাণের শহর।
এ শহর আমাকে কেবল দিয়েছে। তাঁর কণ্ঠ এ সময় বাষ্পরুদ্ধ হয়ে উঠে। দীর্ঘ ৩৭ বছরের মার্কিন সিনেটে একজন আইনপ্রণেতা হিসাবে বাইডেন প্রতিদিন সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এমট্রাক ট্রেনে উইলমিংটন দেলাওয়ার থেকে ওয়াশিংটনে যাতায়াত করেছেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে সেই ট্রেনই বাহন রূপে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস তার অনুমোদন দেয়নি। ভাড়া করতে হয় চার্টার্ড বিমান। রেওয়াজ থাকলেও তাঁর পূর্বসুরি সামান্য সৌজন্য বোধ দেখানোর প্রয়োজন মনে করেননি। তাঁকে আনতে পাঠাননি প্রেসিডেন্ট পুলের বিমান এয়ারফোর্স ওয়ান। যদিও তা টারমাকে অলস পড়েছিল। তবে আজ তিনি এয়ারফোর্স ওয়ানেই গেছেন আবাসভূমিতে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা বিশেষায়িত এয়ারফোর্স ওয়ান নামক বিমানে ভ্রমণ করে থাকেন। এছাড়া এসব সফরে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে সকল সতর্কমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন তাঁর হোম টাউনের নাম করা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি তাঁর কাজের জন্য হোয়াইট হাউস ও দেলাওয়ার দুই জায়গায় থাকতে হয়। ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম সপ্তাহান্তে নিজ গৃহে রাত্রিযাপন করবেন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডি। আদরের নাতনিদের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবেন জো বাইডেন। ইচ্ছে করেলেও প্রিয় প্রতিবেশীরা তাঁদের আপনজন জো’র সাথে আগের মতো মেলামেশা করতে পারবেন না। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন তাঁর প্রশাসন সকল সময় তাঁর সাথে থাকবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কোন ছুটি-ছাঁটা নেই।