ফ্রান্সে তৃতীয় দফা বা করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে জেরবার অবস্থা। আইসিইউতে কমপক্ষে ৫০০০ মানুষ। সরকারি হিসাবে বুধবারও সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৯ হাজার ৩৮জন। এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৬ লাখ মানুষ। মারা গেছেন ৯৫ হাজার ৪৯৫ জন। এ অবস্থায় করোনা মোকাবিলায় নতুন করে তৃতীয় লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। তিনি কমপক্ষে তিন সপ্তাহের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছেন। এক মাসের জন্য দেশের ভিতরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি এবং অস্ট্রেলিয়ার অনলাইন নিউডেইলি।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন দেশের কিছু এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করেন। তা আরো এলাকায় বাড়ানো হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন সব দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করেছেন। যৌক্তিক কারণ ছাড়া কাউকে বাসা থেকে ১০ কিলোমিটারের বেশি দূরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার এসব কথা তিনি ঘোষণা করেন সরাসরি টেলিভিশন ভাষণে। এ সময় ম্যাক্রন তার দেশের পরিস্থিতিকে নাজুক বলে বর্ণনা করেন। আরো বলেন, এপ্রিল মাসটি হবে আরো কঠিন সময়। তার ভাষায়- যদি আমরা এখনই পরিস্থিতি মোকাবিলা না করি তাহলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। ৪৩ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, একদিকে টিকাদান চলছে। অন্যদিকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। দুটি কর্মসূচি নিয়ে এক রকম প্রতিযোগিতা চলছে। তিনি আরো বলেছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে যেহেতু স্কুল বন্ধ হচ্ছে, তাই গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের শিশুদের জন্য ক্লাস উন্মুক্ত থাকবে। ম্যাক্রন বলেন, গত মাসের প্রথম দিকে ১৯টি জেলায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সেই বিধিনিষেধ সারাদেশে বিস্তৃত করা হবে। প্রতিজন ব্যক্তিকে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে সীমিত পরিসরে। ইস্টারের সময়ে দেশজুড়ে রাত ৭টা থেকে কারফিউ থাকবে। জনগণকে এ সময়ে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ম্যাক্রনের এসব প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক হবে। তারপর তা ভোটে দেয়া হবে।