সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন

ভারতে ঘণ্টায় আক্রান্ত ১১ হাজার, মৃত ৭০

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৩৫ বার

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত লেজে গোবরে অবস্থায় পড়েছে ভারত। দেশটিতে প্রতিদিন ঘণ্টায় আক্রান্ত সংখ্যা ১১ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে একদিন এই সংখ্যা ঘণ্টায় ১১ হাজারও ছাড়িয়ে গেছে। অপর দিকে ঘণ্টায় মৃত্যু হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ জন। এমনকি প্রতি ঘণ্টায় ৭৩ জন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার। প্রথমবারের মতো এ দিন ভারতে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৭ শ’রও বেশি। এর আগের দিন দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় পৌনে তিন লাখ। এক দিনে এত লোক আক্রান্ত বিশ্বের আর কোনো দেশেই হয়নি। ফলে এটি এক দিনে করোনায় আক্রান্তের বিশ্বে সর্বোচ্চ রেকর্ড।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটিতে রোববার প্রতি ঘণ্টায় করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৮৯৫ জন। ওইদিন ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে প্রতি ঘণ্টায়। সোমবার এ সংখ্যা বেড়ে ঘণ্টায় সংক্রমণ ১১ হাজার ৪০৮ ও মৃত্যু হয় ৬৭ জন। আর মঙ্গলবার সংক্রমণ কিছুটা কমলেও ঘণ্টায় আক্রান্ত ১০ হাজারের ওপরেই আছে। এ দিন প্রতি ঘণ্টায় ১০ হাজার ৭৯৮ আক্রান্ত আর ঘণ্টায় মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ জন।

বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ২০ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ০৭ শতাংশই পাঁচটি রাজ্যে। এ রাজ্যগুলো হচ্ছে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, ছত্তিসগঢ় ও কেরলা।

কেন্দ্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এক দিনে সংক্রমণের মতোই দৈনিক মৃত্যুর তালিকাতেও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এই পরিসংখ্যানে মৃত্যুতে দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি থাকলেও সংক্রমণে মহারাষ্ট্রেরপরই উত্তরপ্রদেশ।

এমন পরিস্থিতিতে দিল্লির পরে এবার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডেও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন, ২২ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করা হবে রাজ্যে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বুধবার সিদ্ধান্ত নেবেন, রাজ্যে লকডাউন কার্যকর করা হবে কি না। কেরলায় মঙ্গলবার থেকেই বলবৎ হয়েছে দু’সপ্তাহব্যাপী রাতে কারফিউ। কর্নাটকেও মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। রাজস্থানেও একই দিন থেকে শুরু হয়েছে রাতে কারফিউ।

অক্সিজেনের তীব্র সঙ্কট
দিল্লি ও মুম্বইয়ের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল প্রবল অক্সিজেন সঙ্কটের কথা জানিয়েছে। মঙ্গলবার হাসপাতালগুলোর বক্তব্য ছিল, অবস্থা এমন যে আর ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যেই অক্সিজেনের মজুদ শেষ হয়ে যাবে। তখন আর কিছু করার থাকবে না। পুণের একটি হাসপাতালে অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবারই অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে ভর্তি রোগীদের।

করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্ত হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখের বেশি মানুষ। আর মৃত্যু হয়েছে এ লাখ ৮২ হাজার ৫৭০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৬৯ হাজার আর বর্তমানে আক্রান্ত সংখ্যা ২১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৭১ জন।

সূত্র : ওয়ার্ল্ডোমিটার ও আনন্দবাজার পত্রিকা

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com