বায়ো-বাবল সুরক্ষায় চলছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসর। সুরক্ষা বায়ো-বাবল বলয়কে আরও কঠিন করা হয়েছিল। খেলোয়াড়দের জন্য বাইরে থেকে আনা খাবারের ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পরও আইপিএলে করোনার থাবা পড়ল! ৩১ ম্যাচ হাতে রেখেই স্থগিত হয়ে গেল আসরটি।
এত আঁটোসাঁটো সুরক্ষার মধ্যেও কীভাবে করোনার আক্রমণ ঘটল তার উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী। এ নিয়ে চলছে নানা ধরনের বিশ্লেষণ।
গাঙ্গুলীর ধারণা, এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে ভ্রমণের কারণে করোনা ঢুকে পড়তে পারে। কিন্তু নানা রকম বিশ্লেষণ চাঞ্চল্যকর এক তথ্য সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, ক্রিকেটারদের দিয়ে নয়, করোনা ছড়াতে পারে জুয়াড়িদের মাধ্যমে। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নাকি কৌশলে ঢুকে পড়েছিল দুই জুয়াড়ি। এ দুই জুয়াড়ি পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ছদ্মবেশে আইপিএল আয়োজনে অংশ নিয়েছিল।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, গত ২ মে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আইপিএলের একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচের আগে মাঠ পরিষ্কার রাখার দায়িত্বে সেদিন ৪০ জন কর্মীকে রাখা হয়েছিল। ৪০ জনের নাম নথিভুক্ত ছিল খাতায়। কিন্তু সেদিন স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন মোট ৪২ জন। এই বাড়তি দুজন কীভাবে ঢুকলেন? তারা কারা? এই প্রশ্নগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে এখন।
সম্প্রতি জুয়াড়ি সন্দেহে দিল্লি পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গেছে, ওই দুজনও অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে কর্মী হিসেবেই ছিল। সেই সুযোগে তারা পিচ-সংক্রান্ত নানা তথ্য জুয়াড়িদের দিত। এতে করে স্পট ফিক্সিং নিয়ে সন্দেহ তো তৈরি হয়েছেই, সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে- এই দুজনের কাছ থেকেই আইপিএলে করোনা ছড়িয়ে পড়ল না তো? যার জেরে টুর্নামেন্টাই স্থগিত করে দিতে হলো।