১৫ দফা দাবিতে আজ ১ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক-লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এই ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে অন্য বিভাগও। রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে প্রায় দুই হাজার পেট্রল পাম্প রয়েছে। ধর্মঘটের আওতায় এসব পাম্প বন্ধের পাশাপাশি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ এম এ মোমিন দুলাল বলেন, জ¦ালানি সচিব ১৫ দফা দাবি নিয়ে আগামী ১৫ ডিসেম্বর তার অফিসে আমাদের সাথে একটি সভা আহ্বান করে চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠি আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর সংগঠনের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে বগুড়া প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের এ ঘোষণা দেয়া হয়। তারা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ১৫ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আলটিমেটাম দেন।
১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে সাত শতাংশ প্রদান, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধসাপেক্ষে ট্যাংক-লরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন, ট্যাংক-লরির ভাড়া বৃদ্ধি, পেট্রল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া অন্য দফতর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক পাঁচ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংক-লরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দফতর ছাড়া সরকারি অন্য দাফতরিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিলার বা এজেন্টদের অযথা হয়রানি বন্ধ, নতুন কোনো পেট্রল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানি তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রল পাম্পের পাশে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণের আগে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ও বিভিন্ন জেলায় ট্যাংক-লরি থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করতে হবে।