এবার স্পষ্টতই উসকানি দিচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় যুদ্ধবিরতি চলছে। কিন্তু যে আল আকসা মসজিদে ‘স্বাধীনভাবে ধর্মপালনের দাবি’র জের ধরে যুদ্ধে জড়িয়েছিল ফিলিস্তিনিরা, সেই মসজিদে গতকাল তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েলিরা। এমনকি আল জাজিরা বলছে, নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতিতেই এ তাণ্ডব চলেছে। এর আগে সকালের নামাজের সময় মুসল্লিদের পিটিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ।
টানা ১১ দিনের রক্তাক্ত সংঘাত শেষে শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে গাজায়। এ যুদ্ধে সাড়ে চার হাজারের মতো রকেট হামলা করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বাহিনী হামাস। ইসরায়েলের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকায় এসব হামলার বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়েছে, মারা গেছেন ১৩ ইসরায়েলি। কিন্তু ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলায় ফিলিস্তিনের অন্তত ২৩৮ জন নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে ৬৬ জন শিশু।
যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পরই দুপুরের নামাজের সময় আল আকসায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয়েছিল ইসরায়েলি পুলিশবাহিনী। এ ধরনের আচরণ যে যুদ্ধবিরতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তা আঁচ করা যাচ্ছে।
১০ মে হামলা-পাল্টা হামলা শুরু হয়েছিল। এর এক সপ্তাহ আগে সর্বশেষ আল আকসায় ইহুদি পর্যটকদের প্রবেশানুমতি মিলেছিল। আল জাজিরা লিখেছে, ৪ মের পর ২১ মে প্রথমবারের মতো ইহুদিরা এ মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করার সুযোগ পান। কিন্তু এর মধ্যে কোনো তৎপরতা আছে কি না, সে বিষয়ে ইষ্যৎ ইঙ্গিত দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমটি।
সম্প্রতি ইসরায়েলের কট্টর বসতি বাসিন্দারা অনলাইনে একটা প্রচার চালাচ্ছে- তারা চায়, আল আকসার প্রাঙ্গণে ইহুদিদের তৃতীয় তীর্থস্থান গড়ে তোলা হোক। এমন কোনো পদক্ষেপ হামাস যে মানবে না, তা তো বলাই বাহুল্য। এ ছাড়া ১৯৬৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী, ওই প্রাঙ্গণে শুধু মুসলিমরাই ধর্মীয় চর্চা করতে পারবেন। আল জাজিরা বলছে, সম্প্রতি বছরগুলোয় আল আকসা প্রাঙ্গণে উগ্র ডানপন্থি ইসরায়েলিদের আনাগোনা বেড়ে গেছে।