চোখের পাতার ওপরে বা ভেতরের অংশে ব্যথা হতে পারে। চোখের পাতার ব্যথা সাধারণত চুলকানি ও জ্বালাপোড়ার কারণে হয়ে থাকে। চোখে বাইরে থেকে কিছু গেলে, ইনফেকশনের জন্য চোখ চুলকালে বা চোখের পাতার ওপর যে মেমব্রেনের আস্তরণ থাকে, তাতে প্রদাহ দেখা দিলে ব্যথা হয়। চোখের ভেতরের অংশে ব্যথা হলে এ ব্যথার মাত্রা খুব বেশি হয়। গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার কারণেও ব্যথা হতে পারে। এ ব্যথা দৃষ্টিশক্তির ওপর প্রভাব ফেললে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিভিন্ন কারণে এ লক্ষণ দেখা যেতে পারে। যেমন- অ্যালার্জিজনিত কনজাঙ্কটিভাইটিস, ছানি, ক্যালাজিয়ন, কনজাঙ্কটিভাইটিস, কর্নিয়া ইনফেকশন, ডেঙ্গু জ্বর, দাঁতের ক্ষয়রোগ, টাইফয়েড জ্বর, ক্ষীণদৃষ্টি, লেইশম্যানিয়াসিস বা কালাজ্বর, সিউডোটিউমার সেরেব্রি, প্রেসবায়োপিয়া, টেরিজিয়াম, ব্লাস্টোমাইকোসিস, ফ্যাট এমবলিজম, চ্যাগাস ডিজিজ, শ্যাংক্রয়েড, অ্যামব্লায়োপিয়া, ক্রনিক গ্লুকোমা, রেটিনাল ডিটাচমেন্ট ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য কারণ।
লক্ষণ : উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো- চোখে লাল ভাব; কম দেখা; মাথাব্যথা; চোখ ফুলে যাওয়া; চোখ দিয়ে পানি পড়া; চোখে চুলকানি; চোখের অভ্যন্তরে কোনো কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করা; চোখ জ্বালাপোড়া করা; ঘোলাটে দৃষ্টি; মুখম-লে ব্যথা; চোখ থেকে সাদা বর্ণের তরল জাতীয় পদার্থ বের হওয়া ইত্যাদি।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে : পুরুষের মধ্যে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা আশঙ্কা রয়েছে। নারীর মধ্যে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা ১ গুণ কম।
চিকিৎসা : প্রথমেই জেনে নিতে হবে, ঠিক কী কারণে ব্যথা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকই সবচেয়ে ভালো পরামর্শ দিতে পারেন। তবে চোখে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে সর্বপ্রথম উচিত দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। তিনিই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র দেবেন।
লেখক : চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন