যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে মুখোমুখি বৈঠক করেছেন জো বাইডেন। বুধবার প্রায় চার ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে নানা আলোচনা থাকলেও ইতোমধ্যেই এর সুফল মিলতে শুরু করেছে। চলতি জুন মাসের মধ্যেই রুশ রাষ্ট্রদূত ওয়াশিংটনে ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
শুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তিনি বলেন, উভয় দেশের বহিষ্কৃত রাষ্ট্রদূতদের পুনরায় দুই দেশের দূতাবাসে ফেরাতে রাজি হয়েছেন তারা। এরপরই মূলত যুক্তরাষ্ট্রে ফের রাষ্ট্রদূত পাঠানোর ঘোষণা দেয় মস্কো।
তিনি বলেন, ‘সরাসরি প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর আনাতোলি আন্তোনভ নিজের ব্যাগ গুছিয়ে অপেক্ষা করছেন। আমার মনে হয়, চলতি মাসের শেষের দিকে ওয়াশিংটনের রুশ দূতাবাসে ফিরে যাবেন তিনি।’
উল্লেখ্য, গত বছর অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া ফের হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিল বলে গত মার্চ মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ওই রিপোর্ট প্রকাশের পরপরই ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব ও সম্পর্কের অবনতি হয়। রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ‘খুনি’ হিসেবে আখ্যায়িত করার পাশাপাশি মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য ‘তাকে মূল্য দিতে হবে’ বলেও মন্তব্য করেন বাইডেন।
এ ঘটনার পরদিনই ওয়াশিংটনে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভকে মস্কোয় ডেকে পাঠায় বিক্ষুব্ধ পুতিন প্রশাসন। তবে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর আপাতত এই সংকট কাটতে চলেছে বলেই মনে হচ্ছে।
বুধবার বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, (বৈঠকে) উভয় দেশের বহিষ্কৃত রাষ্ট্রদূতদের পুনরায় দুই দেশের দূতাবাসে ফেরাতে রাজি হয়েছেন তারা।
তার ভাষায়, ‘এই ইস্যু সমাধানে আমরা একমত হয়েছি। তারা (উভয় দেশের রাষ্ট্রদূত) তাদের স্থায়ী কাজের জায়গায় ফিরে যাবে। তবে সেটা ঠিক কখন; আগামীকাল না কি পরশু, সেটা পুরোপুরি টেকনিক্যাল ব্যাপার।’
সূত্র: বিবিসি