ইসরাইলের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গোপন বৈঠকের পর এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ।
৫৯ বছর বয়সি এ বাদশাহই প্রথম আরব নেতা, যিনি জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ পেলেন। খবর আলজাজিরার।
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়ে আজ সোমবার হোয়াইট হাউসে বাইডেনের সঙ্গে আব্দুল্লাহর এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
মার্কিন সমর্থনপুষ্ট জর্ডানের এ বাদশাহ গত ২১ বছর ধরে দেশটির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন।
জর্ডানের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাউদ আল-শরাফত বার্তা সংস্থা আলজাজিরাকে বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বাদশাহ আব্দুল্লাহর সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না।
বিশেষ করে ২০১৭ সালে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়ার পর জর্ডানের বাদশাহ প্রকাশ্যে তার নিন্দা জানিয়ে বলেছিলেন, ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ এ অঞ্চলের শান্তি নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। কিন্তু ২০২০ সালে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় য্খন বাহরাইন, আমিরাত, সুদান ও মরক্কো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয়, তখন ওই প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেন বাদশাহ আব্দুল্লাহ।
জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহর সঙ্গে সম্প্রতি গোপন বৈঠক করেছেন ইসরাইলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নেফতালি বেনেট।
হারেৎজসহ ইসরাইলের বেশ কয়েকটি পত্রিকায় এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।এতে বলা হয়, দুই সপ্তাহ আগে আম্মানে ওই গোপন বৈঠক হয় দুই নেতার মধ্যে।
ইসরাইলি পত্রিকার খবরে বলা হয়, পুরনো সম্পর্ক নতুন করে ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য নবনির্বাচিত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী আম্মানে ওই বৈঠক করেন।
হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়, জর্ডানের রাজধানী আম্মানে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ওই বৈঠক করেন।
সম্প্রতি পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় মুসল্লিদের ওপর বর্বর হামলা এবং গাজায় নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার বোমা হামলার ঘটনায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় জর্ডানের।
এতে আরও বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দুই নেতা বৈঠকে আলোচনা করেন।