করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না মর্মে একটি বিধান জারি করতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা দি ওয়্যারকে জানান, ভ্রমণ আবার চালু করার সময় এই বিধান প্রবর্তন করা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এই আইন জারি করা হলে সীমিত কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে করোনাভাইরাসের টিকার পুরো ডোজ গ্রহণ করা ছাড়া কোনো বিদেশিই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
বাইডেন প্রশাসন যাত্রীদের জন্য আন্তর্জাতিক কন্টাক্ট ট্রেসিং সিস্টেম চালু নিয়েও এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে কথা বলছে।
তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যেসব সমস্যার সৃষ্টি হবে তা হলো, টিকা গ্রহণ করার কোন প্রমাণ দিতে হবে ভ্রমণকারীদেরকে। অন্য দেশে টিকা গ্রহণের প্রমাণপত্র যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করবে কিনা তাও জানা থাকতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে গত ১৪ দিনের মধ্যে ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান ও ব্রাজিল ভ্রমণকারী অ-মার্কিনিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
এছাড়া যে ২৬টি ইউরোপিয়ান দেশে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নেই, ওইসব দেশের ক্ষেত্রেও ওই বিধান প্রযোজ্য। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্টোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাতভিয়া, লিচেটেনস্টেইন, লিথুনিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভানিয়া, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড।
কয়েকটি মিত্র দেশ টিকার ডোজ পুরোপুরি গ্রহণ করা আমেরিকানদের প্রবেশে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র কঠোরতা শিথিল করতে রাজি হচ্ছে না। গত জুনে ইইউ মার্কিন ভ্রমণকারীদের অনুমোদন করার কথা ঘোষণা করেছে। যুক্তরাজ্যও টিকা গ্রহণকারী মার্কিনিদের জন্য প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে।
এমনকি কানাডা ও মেক্সিকোর সাথে সীমান্তও যুক্তরাষ্ট্র ২১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখছে। অথচ কানাডা ৯ আগস্ট থেকে টিকা গ্রহণকারী আমেরিকানদের জন্য প্রবেশের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স