টোকিও অলিম্পিকের প্রতিটি ইভেন্টের মেডেলের পেছনে রয়েছে দারুণ এক রহস্য। প্রতিটি মেডেল তৈরির পেছনে জাপানিদের রয়েছে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ অবদান। প্রায় ৮০ টন অব্যবহারিত ইলেকট্রনিক্স পণ্যকে রিসাইক্লিন (পুনরায় ব্যবহার করা) করে ৫ হাজার মেডেল তৈরি করেছে জাপান।
সম্প্রতি জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়েচ ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান মেডেল তৈরির দায়িত্বে থাকা কাওমিজাওয়া।
সাধারণত প্রতিটি ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরিতে ধাতুর ব্যবহার হয়ে থাকে। সেখানে থাকে সোনা, রূপা ও ব্রোঞ্জ। জাপান সরকার অলিম্পিকের মেডেল তৈরিতে এই অব্যবহারিত ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবহার করে মেডেলগুলো তৈরি করেছে।
২০১৭ সালের দিকে জাপান সরকার তাদের জনগণের কাছে অব্যবহারিত ইলেকট্রনিক্স পণ্যের জন্য আহ্বান জানায়। এ সময় পাওয়া পণ্যের ওজন ৮০ টন হয়। এরপর এটাকে রিসাইক্লিন করে সোনা, রূপা ও ব্রোঞ্জকে আলাদা করা হয়। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান এই প্রক্রিয়ার শেষ হয় ২০১৯ সালের মার্চের দিকে।
৮০ টন পণ্যকে রিসাইক্লিন শেষে ৭০ পাউন্ড (৩২ কেজি) সোনা, ৭৭০ পাউন্ড রুপা এবং ৪ হাজার ৮৫০ পাউন্ড ব্রোঞ্জ পাওয়া যায়। সেগুলোকে ব্যবহার করে ৫ হাজার মেডেল তৈরি করে অন্যন্য এক উদাহরণ তৈরি করে জাপান।
শুধু টোকিও অলিম্পিকের মেডেলই রিসাইক্লিন করে তৈরি হয়েছে তা কিন্তু নয়। এর আগে ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে ব্রাজিলও একই নজির রেখেছিল। সেবার অবশ্য শতভাগ সম্ভব না হলেও ৩০ শতাংশ ধাতুই অব্যবহারিত পণ্যের রিসাইক্লিন থেকে সংগ্রহ করা হয়।