আর মাত্র দেড় মাস বাকি। এরপরই মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট ঘিরে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দলগুলো। তার ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজের পর এবার নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও সিরিজ খেলতে প্রস্তুত টাইগাররা। তবে এর বাইরেও গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছেন দুই টাইগার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।
করোনার কারণে বিশ্বকাপের ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাত। একই কারণে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অবশিষ্ট অংশও আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আইপিএলের অর্ধেক ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হলেও পরে আর তা মাঠে গড়ায়নি। ফলে ভেন্যু হিসেবে আরব আমিরাতকেই বেছে নেয় ভারত। বিশ্বকাপ শুরু আগে আগেই শেষ হবে বাকি অংশ। যেখানে প্রথম পর্বের মতো অংশ নিতে যাচ্ছেন সাকিব-মুস্তাফিজ।
আইপিএলে বিশ্বের নাম করা ক্রিকেটাররা খেলে থাকেন। প্রতিটি দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটাররা আইপিএলকে মজিয়ে রাখেন। সেখানে বোলার ও ব্যাটসম্যানদের নিজেকে যাচাইবাছাইয়ের সুযোগ থাকে। যার কারণে আইপিএলে ভালো করতে পারলে তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেও প্রভাবিত করে বলে মনে করেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বর্তমান ফর্ম ও মানসিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন মুস্তাফিজ। দারুণ আত্মবিশ্বাসী মুস্তাফিজের মতে, ‘আমি যেটা মনে করি, আইপিএলে খেলা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পারফর্ম করতে সহায়তা করে কারণ সেখানে সেরাদের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে। আমার মতে, ওখানে (আইপিএল) ভালো করতে পারলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করা অনেক সহজ হয়ে যায়।’
‘এই টুর্নামেন্টে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রা প্রতিযোগিতা করে। যদি সফল হতে পারেন, তাহলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। আমি নিশ্চিত আমার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। কারণ আমি যদি আইপিএলে ভালো করি তাহলে সেই আত্মবিশ্বাস বিশ্বকাপেও সঙ্গে নিতে পারব’, যোগ করেন তিনি।
আইপিএলর দল রাজস্থানের হয়ে চলতি বছর দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন মুস্তাফিজ। কোভিডের আগে বল হাতে প্রতিপক্ষকে কাটার-স্লোয়ার দিয়ে ভালোই নাকানি চুবানি খাইয়েছেন তিনি। এর জন্য অবশ্য ক্লাবের কোচিং প্যানেলের প্রতি কৃতজ্ঞ মুস্তাফিজ বলেন, ‘সিড লাহিরি নামের একজন কোচ ছিলেন, রাজস্থানের ক্যাম্পে তিনি আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। শুধু তিনি নয়, প্রত্যেকে ভালো ভালো কথা বলেছেন। অনেক ভালো লেগেছিল। আসলে আমি সবসময় শিখতে আগ্রহী।’
ঘরের মাঠে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সিরিজ কাটিয়েছেন মুস্তাফিজ। বেশ কয়েকটি ম্যাচে তার কৃপণতায় অজিদের ভুগতে হয়েছে বেশ। বল হাতে তার ডেলিভারি দেখে অবাক হয়েছেন অজিরাও। বিশেষ করে ব্যাক অব হ্যান্ড স্লোয়ার ডেলিভারিতে মনোনিবেশ ছিল তার। ৫ ম্যাচে ৬০ রান খরচায় ৭ উইকেট নেওয়া এই পেসার বললেন, ‘এটা এমন উইকেট ছিল না যে সেখানে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়। এ কারণে খুব বেশি চেষ্টা আমি করিনি। শুধু বেসিকগুলো অনুসরণ করেছি। আমার ব্যাক হ্যান্ড স্লোয়ার (ডেলিভারি) নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি ভালোভাবে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি কিন্তু আরো তীক্ষ্ণ হতে হবে।’