ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও ফের ফিলিস্তিন মিশন চালু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আর মার্কিন সরকারের এই ভাবনাকে ‘বাজে পরিকল্পনা’ অ্যাখ্যা দিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার তারা বলেছে, এমন কিছু হলে তা নাফতালি বেনেটের নতুন সরকারের ভেতর অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
এক সংবাদ সম্মেলনে জেরুজালেমে ফের মার্কিন কনসুলেট খোলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ জানিয়েছেন, জেরুজালেম ইসরায়েলের সার্বভৌম রাজধানী এবং কেবল ইসরায়েলেরই। সে কারণে ইসরায়েল এই মার্কিন পরিকল্পনাকে ভালো চোখে দেখছে না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
লাপিদের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন মে’তে যেমনটা ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমে ফের কনসুলের খোলার প্রক্রিয়া সেভাবেই এগিয়ে নিচ্ছে। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস সরানো ও শহরটিকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছে না বলেও মুখপাত্র আশ্বস্ত করেছেন।
এদিকে, ইসরায়েলের এই আপত্তি অনুমিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওয়াসেল আবু ইউসেফ। ইসরায়েল কোনো ধরনের রাজনৈতিক সমাধান আটকাতে চাইছে-এমন দাবিও করেছেন তিনি।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন পুরো জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেব স্বীকৃতি দিয়ে তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়েছিল।
গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের যে কয়েকটি পদক্ষেপ ফিলিস্তিনিদের ক্ষিপ্ত করেছিল, তার একটি ছিল মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া। কারণ ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখে।
তবে বাইডেন ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন, দুই রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন দেওয়া এবং জেরুজালেমে ফের কনসুলেট খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।