যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংসদ ভবন ক্যাপিটল হিলে সন্ত্রাসী হামলা ঘটনার সাতজন আসামি তাদের দোষ স্বীকার করেছেন। শুক্রবার ফেডারেল আদালতে বিদ্রোহ ও এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তারা। এরমধ্যে ক্লীভল্যান্ড মেরিডিথ জুনিয়রও রয়েছেন। তিনি মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
সিএনএন-এর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ফেডারেল মামলার ছয় শতাধিক আসামির মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ আসামি আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন।
এই আসামিদের মধ্যে ক্লীভল্যান্ড জুনিয়র হলেন উল্লেখযোগ্য, যার সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদন্ড হতে পারে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৬ই জানুয়ারি ক্যাপিটল হিল ভবনে এই নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের উগ্রবাদী সমর্থকরা এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। এই হামলায় ক্যাপিটল পুলিশের অফিসার ব্রায়ান সিকনিকসহ পাঁচ জন প্রাণ হারান। এতে এ পর্যন্ত ৬৩৯ জনকে আসামি করে ফেডারেল সরকার কর্তৃক মামলা দায়ের করা হয়।
আসামি ক্লীভল্যান্ড এই হামলা ও বিদ্রোহে অংশ নিতে জর্জিয়া রাজ্য থেকে ওয়াশিংটনে আসেন দুটি বন্দুক ও আড়াই হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ নিয়ে। নিজের গাড়ীর সমস্যার জন্য একদিন পর তিনি ওয়াশিংটনে পৌঁছান।
শুক্রবার ওহাইয়োর এক দম্পতি ব্র্যান্ডন মিলার ও স্টেফানি মিলার ক্যাপিটল বিদ্রোহ ও দাঙ্গার ঘটনায় তারা জড়িত ছিলেন মর্মে আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন। তারা ফেসবুকে একটা মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, দাঙ্গার দিনটি শান্তিপূর্ণ ছিল এবং মিডিয়া যা ঘটেছে তা বিকৃত করেছে। এপর্যন্ত মাত্র ছয় জন বিদ্রোহী দাঙ্গাবাজকে দন্ডিত করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৬১ জন নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। আবেদনকারীর মধ্যে অধিকাংশই নিম্নস্তরের অপর্কমের দায়ে দোষী। তবে কিছু লোক এমন অপরাধের জন্য দোষ স্বীকার করেছেন যার জন্য বছরের পর বছর কারাদণ্ড হতে পারে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র, পুলিশকে আক্রমণ করা বা কংগ্রেসের কার্যক্রমে বাঁধা প্রদান করা।
সম্প্রতি এই মামলার কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন অনেক আসামিই আদালতের অনুকম্পা পেতে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয় সামনে এনে দোষ স্বীকার করতে চাইছেন। আগামী সপ্তাহে আরো আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করার কথা রয়েছে।