ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে গতকাল রবিবার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশটির নাগরিকরা পরবর্তী নেতা নির্বাচনে ভোট দেন। বাংলাদেশি সময় হিসাবে রাত ১০টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ভোটপরবর্তী জরিপে দেখা গেছে- বড় দুদলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এবারের নির্বাচনে সবার নজর এলে দীর্ঘ মেয়াদে চ্যান্সেলর পদে থাকা অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের পর ক্ষমতায় কে আসছেন সেদিকে। আর গতকালের নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জার্মানিতে মেরকেল যুগের অবসান হতে যাচ্ছে। খবর বিবিসি।
ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে এবারই প্রথম নির্বাচনের আগে তিন প্রধান দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীরা টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। তবে ভোটের আগে নিশ্চিত জয়ের আভাস পাচ্ছেন না কেউ। সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক (এসপিডি) কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে মেরকেলের রক্ষণশীল দল সিডিইউ সামান্য পিছিয়ে রয়েছে। এসপিডি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওলাফ শলৎস আর মেরকেলের দলের প্রার্থী হয়েছেন আরমিন লাশেট। এ ছাড়া তৃতীয় অবস্থানে থাকা গ্রিন পার্টি এবারই প্রথম চ্যান্সেলর প্রার্থী দিয়েছেন। তিনি হলেন- আনালেনা বেয়ারবক। কিন্তু ভোটে যে দলই এগিয়ে থাকুক সরকার গঠন করতে তাদের জোটের দ্বারস্থ হতে হবে। এখানে গ্রিন পার্টির মতো তৃতীয় দল বেশি সুবিধা নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জার্মানির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগে আসন থাকে অন্তত ৫৯৮টি। কোন দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে তা রাতের মধ্যেই জানা যাবে। তবে চ্যান্সেলর কে হচ্ছেন তা জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। কেননা সরকার গঠনের লক্ষ্যে যে জোট গঠন হবে, সেই জোটের নেতাই হবেন আগামী দিনের চ্যান্সেলর।
উল্লেখ্য, জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটাররা দুটি করে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান? প্রথমটি নির্বাচনী আসনে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য, দ্বিতীয়টি পছন্দের দলের জন্য?
প্রার্থী ও দল ভিন্ন হলেও সমস্যা নেই? ভোটারদের সরাসরি ভোটে ২৯৯ আসনে প্রার্থীরা সরাসরি নির্বাচিত হবেন। আর দ্বিতীয় ব্যালটে যে দল যত শতাংশ সমর্থন পাবে, সেই অনুপাতে বুন্ডেসটাগের বাকি আসনগুলোতে প্রার্থীরা নির্বাচিত হবেন।