যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মানসিকভাবে তীক্ষè বুদ্ধিসম্পন্ন নন বলে অধিকাংশ আমেরিকান মনে করেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনমত জরিপ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার এক জনমত জরিপ চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছে।
ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিউ রিসার্স সেন্টারের জরিপ মোতাবেক, ৫৬ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মানসিক দক্ষতা ‘মোটেও ভালো না’ বা ‘বেশি ভালো না’। অন্যদিকে, ৪৩ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মানসিক দক্ষতা ‘খুব ভালো’ বা ‘মোটামুটি ভালো’।
গত সপ্তাহেও ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নামই ভুলে গিয়েছিলেন বাইডেন। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে নতুন একটি জোট গড়ার ঘোষণার দিন বক্তব্যের শুরুতে বাম পাশের মনিটরে দেখতে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ধন্যবাদ বরিস’। এরপর ডানদিকে ঘুরে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে যান বাইডেন। কিন্তু ওই মুহূর্তে স্কট মরিসনের নাম মনে পড়ছিল না তার। এ কারণে আমতা আমতা করে বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাই… উম… নিচের ওই লোকটাকে। অনেক ধন্যবাদ বন্ধু।’ ৭৮ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে জাতিসংঘের ভাষণেও দিধাদ্বন্দ্বে পড়তে দেখা গেছে। সম্প্রতি আরও একটি সংবাদ সম্মেলনে দেখা যায় যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন মনে করতে পারছিলেন না কী বলতে চেয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এমন কা-ের কঠোর সমালোচনা করছেন রিপাবলিকানদের অনেকে। ধীরে ধীরে আমেরিকার সাধারণ নাগরিকরাও বিষয়টি নজরে আনছেন। তবে এটি প্রথম নয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ রকম ভুলের বহু তথ্য পাওয়া যায় তার চার বছরের শাসনকালে। এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও এমন ভুলভ্রান্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার, করোনা মোকাবিলা ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক বিষয়ে জনপ্রিয়তা কমছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের, এমনটা মনে করছেন বিশ্লেষকরা।