শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন

আফগানিস্তানে যে কারণে হামলা করবে যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১
  • ১২৪ বার

বিমান হামলার মাধ্যমে আফগানিস্তানে আল কায়েদার পুনরুত্থান ঠেকানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দূরদিগন্ত থেকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার এই কৌশলের কার্যকারিতা নিয়ে খোদ মার্কিন আইনপ্রণেতা ও বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ রয়েছে। তা সত্ত্বেও বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই কৌশল ব্যবহার করে আফগানিস্তানে আল কায়েদার পুনরুত্থান ঠেকাতে চায় মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের আর্মড সার্ভিসেস কমিটিকে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, দূরদিগন্ত থেকে অভিযান চালানো কঠিন বটে, কিন্তু তা করাটা খুবই সম্ভব।

গত এপ্রিল মাসে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হলে আফগানিস্তানে আল কায়েদাকে ফিরে আসতে দেবেন না বলে তখন অঙ্গীকার করেন তিনি।

বাইডেনের ওই ঘোষণার পর পেন্টাগন বারবার বলে আসছে যে তারা আশপাশের মার্কিন ঘাঁটি কিংবা ড্রোন থেকে হামলা চালিয়ে আফগানিস্তানে আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের উত্থান ঠেকাতে সক্ষম।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মধ্যেই ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতন হয়। কাবুল থেকে সামরিক-বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার সময় গত মাসের শেষ দিকে সেখানকার বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলা চালায় আইএস। এই হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হন। আইএসের এই হামলার পর কাবুলে জঙ্গি সংগঠনটির কথিত সদস্যদের ‘নিশানা’ করে ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই ড্রোন হামলায় বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানে গিয়েছিল আল কায়েদাকে উৎখাতে। কারণ ওই বছর ১১ সেপ্টেম্বর এই জঙ্গিগোষ্ঠীটি আমেরিকার টুইন টাওয়ারসহ চার জায়গায় হামলা করে হাজার তিনেক মানুষকে মেরে ফেলেছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com