রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন

ছাত্রীর সন্তানকে কোলে নিয়েই ক্লাস নিলেন শিক্ষক!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০২১
  • ১১১ বার

করোনা সংক্রমণ রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যায়। পরে ওই স্কুলছাত্রী সন্তানের জন্ম দেন। আজ রোববার তার দশম শ্রেণির ক্লাস শুরু হওয়ায় সন্তান নিয়ে শ্রেণিকক্ষে হাজির হয়েছিলেন এক ছাত্রী। এ সময় ওই শিশু সন্তানকে কোলে নিয়েই ক্লাস নিয়েছেন তার শিক্ষক।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সবার নজরে পড়ে। অধিকাংশ নেটিজেনরা এ ঘটনায় শিক্ষকের প্রশংসা করেছেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক পঙ্কজ কান্তি বলেছেন, ‘মেয়েটি পড়াশুনা থেকে যেন উৎসাহ হারিয়ে না ফেলে সে কারণে আমি তার সন্তানকে কোলে নিয়ে পড়িয়েছি। আমি চাই মেয়েটি পড়াশুনা চালিয়ে যাক। শিশুটিকে আদর করতে গিয়েই আমি কোলে নিয়ে ক্লাস চালিয়ে গেছি।’

আজ রোববার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্টে স্থানীয় এক যুকক লিখেছেন, ‘দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সন্তান কোলে নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালাচ্ছেন চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক পঙ্কজ মধু স্যার। সন্তান কোলে নিয়ে পাঠে মনযোগী হতে না পারা শিক্ষার্থীর সুবিধার্থে তিনি এ কাজ করেছেন। স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি, ভালোবাসা।’

তিনি আরও লিখেন, ‘কিন্তু, আমাদের গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে এখনো পুরোপুরিভাবে বাল্য বিয়ে রোধ সম্ভব হচ্ছে না। এর পুরোপুরি দায় নিতে হবে ইউনিয়ন পরিষদ অর্থাৎ মেম্বার চেয়ারম্যানের, পরিষদে কর্মরত উদ্যোক্তা, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে। নিকাহ রেজিস্ট্রারও এর দায় এড়াতে পারে না। দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী নিশ্চয় ১৮ বছর কিংবা ততোর্ধ্ব না।’

এ লেখাটি অনেকে কপি করে বিভিন্ন গ্রুপ ও নিজেদের আইডিতে দিয়েছেন। সেখানে অনেকেই শিক্ষকের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি বাল্য বিয়ে নিয়ে সমালোচনা করেছেন অনেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com