বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালের কর্মচারী আ ন ম বজলুর রশিদকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মারধর করেন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ওরফে ভিপি আনোয়ার। এ ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে সিভিল সার্জনের কাছে ‘সরি’ বলে রক্ষা পান বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সেই সহসভাপতি। সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন নিজেই গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মারধরের শিকার বজলুর রশিদ বলেন, ‘বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালের পুরনো ছয়টি বিল্ডিং নিলামে বিক্রির টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। সেই টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল গত বৃহস্পতিবার। ভিপি আনোয়ার হোসেন নিজের নামে টেন্ডার না কিনলেও অন্যের নাম আর তার মোবাইল নম্বর দিয়ে দুটি দরপত্র জমা দেন।
সেই সঙ্গে কে কত দামে টেন্ডার জমা দিয়েছেন তার তালিকা করে তাকে দেওয়ার জন্য আমাকে বলেন। কিন্তু আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওইদিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে আমার কক্ষে ঢুকে আবারও তালিকা চান। আমি তখনও দিতে অস্বীকৃতি জানাই। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে টেবিলে রাখা স্ট্যাপলার দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন। তবে সরে যাওয়ায় ঘাড়ে আঘাত লাগে। এ সময় তিনি আমাকে চড় থাপ্পড়ও দেন।’ বজলুর রশিদ আরও বলেন, ‘বিষয়টি তাৎক্ষণিক হাসপাতালের আরএমওকে জানাই। তিনিই পরে সিভিল সার্জন অফিসকে জানান।’
আওয়ামী লীগ নেতা ভিপি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘টেন্ডার নিয়ে তার (বজলুল রশিদ) সঙ্গে কিছু হয়নি। তার বিরুদ্ধে অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। তিনি নার্সের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। ছুটির আবেদন দিলেও তাকে টাকা দিতে হয়। এসব নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।’ তাকে একটি থাপ্পর দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন আওয়ামী লীগের ওই নেতা। তিনি এও দাবি করেন, ‘রবিবার রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বসে বিষয়টি মিটমাট হয়েছে।’
এ বিষয়ে বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের ঘটনায় ভিপি আনোয়ার সরি বলেছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছি না।’