আজ মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে টি ২০ বিশ্বকাপ। এ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল ভারতে। কিন্তু করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতির কারণে বদলে গেছে আয়োজক দেশ। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ১৬টি দল। এর মধ্যে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেবে চারটি দল। ১২ দল নিয়ে হবে সুপার টুয়েলভ রাউন্ড। ক্রিকেটে টি ২০ ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। একসময় ছিল পাঁচ দিনের টেস্ট ক্রিকেটের রমরমা। এরপর ৫০ ওভারের একদিনের ক্রিকেট (ওডিআই) শুরু হওয়ার পর টেস্ট ক্রিকেটের আবেদন অনেকটাই কমে গেছে। পেশাদার ফরম্যাটে টি ২০ ক্রিকেটের আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০০৩ সালে। ২০০৭ সালে ২০ ওভারের টি ২০ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছে এর জনপ্রিয়তা একসময় ওডিআইকেও ছাড়িয়ে যাবে; কিংবা ইতোমধ্যেই ছাড়িয়ে গেছে। কারণ স্বল্প সময়ের উত্তেজনাপূর্ণ খেলা দেখেই মানুষ আনন্দ পায় বেশি।
টি ২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল কেমন খেলে, তা দেখার অপেক্ষায় আছি আমরা। আজ বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই টাইগাররা মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ডের। টি ২০-তে বাংলাদেশের র্যাংকিং ৬। সার্বিকভাবে টি ২০ ক্রিকেটে টাইগারদের অতীত পারফরম্যান্স ভালো নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় টাইগারদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে সন্দেহ নেই। তাছাড়া ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ আগেভাগেই ওমানে দল পাঠিয়েছে। এ মুহূর্তে দলে ইনজুরি সমস্যাও তেমন নেই। সব মিলে টাইগারদের কাছ থেকে ভালো খেলা প্রত্যাশা করি আমরা। ক্রিকেট দলবদ্ধ নৈপুণ্যের খেলা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে সাকিব, মুশফিক, মোস্তাফিজ, সৌম্য, লিটনদের কাছ থেকে সেরা খেলাই প্রত্যাশা করি আমরা।
টাইগারদের সবচেয়ে দুর্বল দিক হলো ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারা। এ কারণে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ অভিধাও জুটেছে তাদের কপালে। তবে আশার কথা, এ দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষণ দেখা গেছে সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোয়। ক্রিকেটের প্রতি উৎসাহ রয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর। দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দেওয়া হয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা। সর্বোপরি, ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের প্রতি রয়েছে দেশবাসীর অগাধ ভালোবাসা ও সমর্থন। আমাদের সামর্থ্য আছে, সম্ভাবনা আছে বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষে নিজেদের স্থান করে নেওয়ার। টি ২০ বিশ্বকাপের সফল সমাপ্তির প্রত্যাশায় রইলাম আমরা।